গত দশদিনে গুজরাটের আমরেলি জেলার গির (পূর্ব) জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হয়েছে ১১টি সিংহর। বন দফতর সূত্রে খবর, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মূলত দলখানীয় রেঞ্জের জঙ্গল থেকে ওই সিংহ-সিংহীর দেহ মিলেছে।
গিরের ডেপুটি কনজার্ভেটর (পূর্ব) পি পুরুষোত্তম জানিয়েছেন, ''গির (পূর্ব) থেকে সিংহ এবং সিংহী মিলিয়ে মোট ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।" উল্লেখ্য, প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য গির জাতীয় উদ্যানকে ইস্ট এবং ওয়েস্ট এই দুই বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, অমরেলি জেলার রজুলার কাছের জঙ্গল থেকে গত বুধবার একটি সিংহীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই একই দিনে দলখানীয় রেঞ্জ থেকে আরও তিনটি সিংহের দেহ মেলে। এ ছাড়া, গত কয়েক দিনে আরও সাতটি সিংহের দেহের খোঁজ মেলে।
আরও পড়ুন: জম্মু কাশ্মীরে তিন পুলিশকর্মীকে অপহরণ করে খুন
আধিকারিক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ওই দেহগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য জুনাগড়ের পশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বন ও পরিবেশ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাজীব কুমার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে এক সঙ্গে এতগুলি সিংহ-সিংহীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও তাঁর দাবি, “প্রাথমিকভাবে যে তথ্য মিলেছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে গিয়ে আটটি সিংহ-সিংহীর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিললেই পশুগুলির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৫-র গণনা অনুযায়ী, গির জাতীয় উদ্যানে ৫২০টি সিংহ-সিংহীর থাকার কথা। রাজ্যসভার সাংসদ পরিমল নাথওয়ানি বৃস্পতিবার জানিয়েছেন, কখনও চোরাশিকারের কারণে বা কখনও বৈদ্যুতিন বেড়ার কাছে চলে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া সহ নানা কারণে ২০১০ থেকে ২০১৫-র মধ্যে ৬২টি সিংহের মৃত্যু হয়েছে। আবার বেশ কিছু সিংহের মৃত্যু হয়েছে অসুস্থতার কারণেও।