ভারতের সমস্ত নিরামিষ ডায়েটে ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে, যার প্রধান কারণ সচেতনতার অভাব। ইন্ডিয়ান মার্কেট রিসার্চ ব্যুরোর এক সমীক্ষার ভিত্তিতে এমনটাই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)।
আইডিএ-র এক বিবৃতি অনুযায়ী, "ভারতে প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষের কোনও ধারণাই নেই তাঁদের রোজকার খাদ্যে কতটা প্রোটিন প্রয়োজন। এঁদের মধ্যেও যাঁরা নিরামিষাশী, তাঁদের মধ্যে ৮৪ শতাংশ প্রোটিন ঘাটতির শিকার, যেখানে আমিষাশীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মানুষ নিজেদের খাদ্যে পর্যাপ্ত প্রোটিন পান না।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "এই পরিসংখ্যান যেহেতু অত্যন্ত উদ্বেগজনক, সেহেতু আইডিএ একটি ক্যাম্পেন শুরু করতে চলেছে, যার মাধ্যমে মানুষকে বোঝানো হবে আমাদের জীবনে প্রোটিনের অতি প্রয়োজনীয়তার কথা, এবং আমাদের সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত প্রোটিনের ভূমিকার কথা।" এই ক্যাম্পেনের প্রথম ধাপ হিসেবে আজ থেকে শুরু হলো সাতদিন-ব্যাপী 'প্রোটিন উইক', যার আয়োজক আইডিএ এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রোটিন ফুডস নিউট্রিশন ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের নির্দেশিকা অনুযায়ী, আমাদের দৈনিক আহারে আমাদের ওজনের এক কিলো প্রতি এক গ্রাম প্রোটিন থাকা উচিৎ। অর্থাৎ, আপনার ওজন ৬০ কিলো হলে আপনার আহারে দৈনিক অন্তত ৬০ গ্রাম প্রোটিন থাকা উচিৎ। এই বিষয়ে সম্যক সচেতনতা বাড়া দরকার, বলছেন আইডিএ মুম্বইয়ের সভাপতি নাজনিন হুসেন।
নাজনিন আরও বলেন, আরেকটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে যে ভারতের ৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের 'মাসল হেলথ' স্বাভাবিকের চেয়ে খারাপ, যার অনুষঙ্গ হলো অপেক্ষাকৃত কম 'মাসল মাস' এবং শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি। তাঁর মতে, কম প্রোটিন খাওয়া এবং অপেক্ষাকৃত নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন। "মাসল হেলথ এত খারাপ হলে নানারকম ক্ষতি হতে পারে, প্রধানত মাসলের দুর্বলতা, ক্লান্তি, এবং হজমের গোলমাল।"
(পিটিআই)