শীত কালে অকাল বৃষ্টির দাপট। আগামি বেশ কয়েকদিন রাজ্যে এমনই পরিস্থিতি থাকবে বলেই জানিয়েছেন হাওয়া অফিস। শনিবার থেকে আকাশ পরিস্কার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এমন ঠান্ডা গরমে সর্দি কাশি লেগে রয়েছে ঘরে ঘরে। এখন যেভাবে বিদ্যুৎগতিতে বেড়েছে সংক্রমণ, তাতে চিন্তা কিন্তু কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। সাধারণ সর্দি কাশি হলেও কি ওমিক্রন টেস্ট করাতে হবে? কী বলছেন চিকিৎসকরা। জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাক্তার সৌম্যজিত গুহ জানিয়েছেন, উপসর্গগুলি তুলনামূলকভাবে কম সক্রিয় হওয়ায় আগের দু’বারের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাটা শতাংশ হারে বেশ কম। তবে ওমিক্রনের কোনও একটিও উপসর্গ দেখা দিলে একেবারে হালকা ভাবে নেবেন না।
আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন অ্যানালাইসিস’এর অনুসারে, কাশি, অত্যধিক ক্লান্তি, নাক বন্ধ এবং নাক দিয়ে জল পড়া ওমিক্রন রূপের সাধারণ উপসর্গ। এছাড়াও হালকা জ্বর, ঘামাচি, শরীরে ব্যথা,অতিরিক্ত ঘামও ওমিক্রনের উপসর্গ।
লন্ডনের কিংস কলেজের জেনেটিক এপিডেমিওলজির অধ্যাপক টিম স্পেক্টর একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানিয়েছেন, ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, খিদে হ্রাস পাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে।
এ ছাড়াও ওমিক্রনের আরও কয়েকটি নতুন উপসর্গ সামনে এসেছে যেগুলি আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে শীতকালীন ঠান্ডা লাগার কারণে হচ্ছে। কিন্তু এগুলিও হতে পারে ওমিক্রন সংক্রমণের ইঙ্গিত সেগুলি হল- গলা চুলকানো, মাথা ব্যাথা, ঘন ঘন নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
তাই এই উপসর্গগুলি যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আজই সাবধান হন। বাড়িতে বাচ্চা অথবা বয়স্ক কোন সদস্য থাকলে বাড়তি সুরক্ষা নিতে ভুলবেন না। যদি আপনার ফলাফল পজিটিভ আসে, অযথা প্যানিক না করে বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকুন। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না। অযথা বাড়তি ওষুধ খাবেন না।