স্ট্রেস এই শব্দটা এখন মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কাজের অন্ত নেই সেই থেকে চিন্তাভাবনার পাহাড় মানুষকে ক্রমাগতই মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। কিন্তু এর সঙ্গে লড়াই করার প্রয়োজনীয়তা আবশ্যিক! নয়তো সবকিছুই গোলমেলে ঠেকবে। মনের উৎফুল্লতা অথবা উচ্ছাস না থাকলে কিন্তু কোনও কাজেই সঠিক ভাবে মন বসানো সহজ নয়। তাই স্ট্রেসের সঙ্গে লড়তে জানতে হবে।
কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডাঃ শ্রীরাম মেনে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে কীভাবে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন অথবা এর মোকাবিলা করা সম্ভব সেই নিয়েই বেশ কিছু তথ্য এবং উপায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অতিরিক্ত স্ট্রেস কিন্তু প্রদাহজনিত পরিবর্তন এবং দীর্ঘস্থায়ী কঠিন রোগের দিকে ঠেলে নিয়ে যেতে পারে। তাই এর থেকে সহজেই সমাধান দরকার।
সাতটি উপায়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি! যেগুলি মেনে চললেই বেশ কিছুটা উপকার পাবেন বলেই জানিয়েছেন। সেগুলি কী কী?
• পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। প্রাপ্ত বয়স্কদের ৭-৯ ঘণ্টা এবং বাচ্চাদের জন্য ১০ ঘণ্টা আবশ্যিক।
• প্রতিদিনের নিয়ম মেনে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা দরকার। কারণ ব্যায়ামের মাধ্যমেই এন্ড্রফিনস এবং ডোপামাইন নিঃসৃত হয় যেকারণে মানসিক শান্তি বজায় থাকে।
• মানুষের সঙ্গে কথা বলা ভীষণ দরকার। নিজের চারপাশের মানুষের সঙ্গে ভাল সংযোগ রাখুন। মনের কথা ব্যক্ত করা খুব দরকারী।
• তাড়াহুড়ো করে একদিনেই সবকিছু করতে হবে এমন কোনও যুক্তি নেই। নিজের ইচ্ছে এবং শারীরিক চাপ বুঝেই কাজ করুন। তবেই ভাল থাকবেন। সারাদিনে কতটা করলে নিজে সুস্থ থাকবেন সেই বিষয়ে লিস্ট বানিয়ে নিন।
• ভাল ভাবনা চিন্তা বজায় রাখুন। সারাদিনে ভাল কি ঘটলো এমনকি চারিপাশে ভাল সুন্দর যা কিছু দেখলেন সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা রাখুন। খারাপ কিছু ভাববেন না।
• প্রাণায়াম করতে পারেন। অনুলোম বিলম সবথেকে ভাল অপশন। ভাল করে শ্বাস নিন, ৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং সেই একই সময় বজায় রেখে আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন। এতে মাথা ঠাণ্ডা থাকবে, তেমনই লক্ষ্য স্থির থাকবে। হার্ট রেট বাড়বে।
• যদি কোনওভাবেই কাজে না দেয় তবেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাদের কিছু কিছু থেরাপি আপনার মন এবং মগজাস্ত্র ঠান্ডা করতে কাজে দেবে।
মানসিক চাপ এবং তার থেকে অশান্তি কিন্তু এক ধরনের অসুস্থতা! এর থেকে লুকিয়ে থাকবেন না। কমানোর চেষ্টা করুন এবং সুস্থ থাকুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন