মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য ঘুম যে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা বার বার বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। সম্প্রতি জার্মানি টুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল গবেষক পরীক্ষা করে দেখেছেন, রাতের ঘুম যদি ভালো হয় তাহলে শরীরের অনাক্রম্য কোষ বা টি-সেলের কার্যকারিতা বাড়তে থাকে। যার ফলে সহজে কোনো রোগ আক্রমণ করতে পারবে না।
তাদের গবেষণা জার্নাল অফ এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ঘুম এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মধ্যে সম্পর্ক কী। ইমিউন কোষগুলি প্যাথোজেনকে শনাক্ত করে তারপর তাকে সক্রিয় করে, যা এক ধরনের প্রোটিন। টি কোষগুলির সঙ্গে সংযুক্ত হয় সেই প্রোটিন এবং তাদের লক্ষ্য হয় রোগের মোকাবিলা করা।
গবেষণার উদ্দেশ্যে, জিএস আলফা-কাপেলড্ রিসেপটর অ্যাগোনিস্ট যা অণুকে সংকেত দেয়, রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থার কাজকে বাধা দেয়। এছাড়া দেখা গেছে যে কিছু গ্যাস-যুক্ত রিসেপ্টর অ্যাগনিস্টরা টি কোষগুলির সঙ্গে ইন্টেগ্রিনগুলির সক্রিয় হওয়ার কাজে বাধা দেয়।
গবেষক ড্রিমিট্রোভ বলছেন, "এই অণুর সক্রিয়তা রোধ করা প্রয়োজন।" অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, টিউমার, ম্যালেরিয়া সংক্রমণ, হাইপোক্সিয়া এবং অতিরিক্ত চাপের ফলে অনেক রোগের সৃষ্টি হয়েছে। এই রোগের প্রতিরোধের জন্য শরীরে প্রয়োজন প্রতিবন্ধক ক্ষমতা।
"যেহেতু অ্যাড্রেনালিন এবং প্রোস্টাগ্ল্যানডিন স্তর ঘুমের সময় হ্রাস পায়, গবেষকরা কিছু স্বেচ্ছাসেবকের কাছ থেকে ঘুমের সময় টি কোষ নেযন এবং জেগে থাকাকালীন তাঁদের দেহ থেকেই টি কোষ সংগ্রহ করেন। এই নমুনাগুলি নিয়ে পরীক্ষা করার পর ডিমিট্রোভ এবং তাঁর সহকর্মীরা দেখেন, জেগে থাকাকালীন টি কোষগুলির তুলনায় ঘুমন্ত সময়ের টি কোষগুলির সক্রিয়তা উচ্চতর মাত্রার।"
"আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘুমের ফলে টি কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে বিষণ্নতা, দীর্ঘস্থায়ী চাপ, বার্ধক্য জনিত ও সংক্রামক রোগ আক্রমণ করতে পারবে না," বলেছেন গবেষণার সহকারী লুসিয়ানা বেসেডভস্কি।
Read the full story in English