ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে চারিদিকে রয়েছে দ্বিমত। মাস্ক পড়া আর বাধ্যতামূলক নয় ঠিক এই ধারণাকে সঙ্গে নিয়েই মানুষের মধ্যে নানারকম গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। তবে নেচার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী কোভিড ১৯ দ্বারা আক্রান্ত কেবলমাত্র ক্ষুদ্র ভাইরাসের ছোট্ট বিন্দু হলেই কাফি! মানব চ্যালেঞ্জ সমীক্ষায় এই নয়া গবেষণা ফের ভাইরাস এবং অন্যান্য প্যথজেন সংক্রান্ত স্পর্শের পরবর্তী প্রভাব উল্লেখ করেছে।
গবেষণাটি অবশ্যই বিভিন্ন বয়সের মানুষের ওপর নির্ধারণ করা হয়েছিল। ১৮ থেকে ৩৬ বছর বয়সের মানুষের শরীরের ওপর ভিত্তি করেই এই গবেষণা করা হয়। তাদের এর পূর্বে ভ্যাকসিন কিংবা ইনফেকশন রয়েছে কিনা সেই নিয়ে খতিয়ে দেখা হয়নি তবে যারা কমর্বিডিটি কিংবা কিডনি, হার্ট অথবা ব্লাড সুগার, ক্যানসার তথা রক্তের সমস্যায় জড়িত তাদের মধ্যে যথারীতি সংক্রমণের ঝুঁকি দেখা গেছে। তাদের সম্পূর্ন ভাবে স্ক্রিনিং করা হয়েছে এবং তাতেই ক্ষুদ্র ড্রপলেটের কারণে সংক্রমিত হওয়ার প্রসঙ্গেও জানা গিয়েছে।
সংক্রমিত ব্যক্তিদের রেমডেসিভির প্রদান করা হয় যাতে তাদের রোগের মাত্রা একটু হলেও কমে যায়। কীভাবে শনাক্ত করা হয় সেই ভাইরাসের মাত্রা? যথারীতি নাকে নল ঢুকিয়ে পাতলা লম্বা টিউবের মাধ্যমেই ভাইরাসটির প্রাথমিক শনাক্ত করা হয়।
গবেষণায় কী কী পাওয়া গেছে?
আঠারো জন মানুষ সংক্রমিত হয়েছে শুধু তাই নয়, ভাইরাল লোড যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভাইরাস প্রথমে গলায় শনাক্ত করা হয় এবং পরে দেখা গেছিল যে সেটি নাকে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।
টিকা দেওয়ার কম করে ১০ দিন পরেও নাকের ভেতর থেকে ভাইরাসের ড্রপলেট পাওয়া গেছে।
১৬% ব্যক্তির সংক্রমন শুরু হয় টিকা দেওয়ার দুই থেকে ৪ দিন পরে। তাদের শরীরে হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।
১৫% ব্যক্তির মধ্যে অন্যস্মিয়া অর্থাৎ গন্ধের অনুভূতি হ্রাস কিংবা ভুলভাল অনুভূতির মত সমস্যা দেখা দিয়েছে। সঙ্গেই শরীরে আরও নতুন সমস্যা দেখা দেবে বইকি কমবে না এমনটাই জানা গেছে।