মানুষের শরীর থাকবে আর তাতে অম্বল থাকবে না এ আবার হয় নাকি? এই এমন একটি অস্বস্তি যেকোনও সময় হাজির হতে পারে। এবং সঙ্গেই শরীর আনচান করা খুব স্বাভাবিক। বিশেষ করে রাত বিরেতেই এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। খাবার দাবারের অনিয়ম থেকেই অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সবসময় কিন্তু অম্বল হলেই ওষুধ খাওয়া কিংবা চুরণ জাতীয় কিছু পান করা একেবারেই শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। এর থেকে ঘরোয়া কোনও টিপস একেবারেই অম্বলের সমস্যা দূর করতে পারে।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং ওয়েলেনস কোচ নিধি গুপ্তার টিপসগুলো কিন্তু আপনার বেশ কাজে আসতে পারে। তিনি বলেন, অ্যাসিডিটির সমস্যা কেউ কেউ এমন আছেন যারা রোজ রোজ ভুগতে থাকেন। আবার কেউ কেউ মাঝেমধ্যেই অস্বস্তিতে পড়েন। কিন্তু এর সঙ্গে আপস করা একেবারেই ঠিক নয়। একে নির্মূল না করলে যেকোনও দিন বড় কোনও বিপদ ঘটতে পারে। বুকের কাছে জ্বলুনি ভাব, পেটে কষ্ট, এবং সেই থেকেই অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
নিধি বলেন, শুধু ওষুধ নয় আপনার রান্নাঘরে থাকা জিনিস দিয়েই আপনার এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। শুধু একটু সময় ব্যয় করতে হবে।
প্রথম, সারারাত কিসমিস ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে উঠেই সবার আগে সেটি খাওয়া অভ্যাস করুন।
দ্বিতীয়, তাজা বাটার মিল্ক প্রতিদিন খেলে এর থেকে রেহাই পেতে পারেন। তবে সাধারণ দুধ নয়। সেই দুধ কিন্তু আরও বেশি অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তৃতীয়, মশলা দিয়ে তৈরি জল আপনার অম্বলে ভাল কাজ দিতে পারে। কালো গোলমরিচ, কালো এলাচ গুঁড়ো, সঙ্গে লবঙ্গ, হলুদ, তুলসী, মৌরি সব মশলাগুলো একসঙ্গে জলে ফুটিয়ে নিন। ছেঁকে নিয়ে পান করুন গরম অবস্থায়। সহজেই রেহাই পাবেন।
চতুর্থ, গুলকান্দ অর্থাৎ গোলাপ দিয়ে বানানো এই মিশ্রণ জলে মিশিয়ে খেলে অম্বলের সমস্যা অনেক কমবে।
এগুলি ছাড়াও আরও বিশেষ কিছু অভ্যাস বদলানোর প্রসঙ্গে তিনি জানান,
খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত ফাঁক দেওয়া একদম ঠিক নয়
অতিরিক্ত রাত করে খাবার খাওয়া বন্ধ করা উচিত
খাবার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়া একটি খারাপ লক্ষণ
ঘুমানোর সময় অবশ্যই মাথা উঁচু করে ঘুমানোর অভ্যাস করা উচিত
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন