এমন কোনও খারাপ অভ্যাস হোক কিংবা ব্যথা বেদনা অথবা শারীরিক গাফিলতি, যোগা দ্বারা সেই সমস্যার সমাধান নেই এমনটা খুব কম রয়েছে। বিশেষ করে ভারতের বুকে সুদূর অতীত থেকে চলে আসছে যোগ সাধনা এবং আয়ুর্বেদের প্রভাব, মুক্তির উপায় হিসেবে এখনও এটিকে শিরোধার্য বলে গণ্য করা হয়। তেমনই মানুষের জীবনে অম্বল কিংবা হজমের সমস্যা খুব স্বাভাবিক বিষয়, তবে একে যোগা দ্বারা একেবারেই প্রতিকার করা সম্ভব।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ নীতিকা কোহলি জানাচ্ছেন, প্রত্যেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, কেউ বাদ নেই। তবে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় অতিরিক্ত তেল, ঝাল এবং নুন মশলা দেওয়া খাবারই কিন্তু এর কাল। আবার অনেক সময় অত্যধিক মাত্রায় ক্যাফেইন, তামাক কিংবা মদ্যপান অথবা গরম জল বেশি পরিমাণে খেলেও এই সমস্যা দেখা যায়। আবার তিনি এমনও বলছেন অনেকেই আছেন যারা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে চলে যান, তাদের মধ্যে এসবের সূত্রপাত বেশি দেখা যায়।
অনেকেই নানান টোটকা কিংবা খাবারের বিচ্যুতি করেই থাকেন, তবে সবথেকে ভাল উপায়ে যদি একে নির্মূল করা যায় সেটি হল যোগা। বেশ কিছু যোগা পজিশনের মাধ্যমেই এর থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তিনি বলছেন সবথেকে সহজ উপায় এটি, এবং যেটি বড় কথা আসলে এর কোনও পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই।
বজ্রাসন : এই যোগা পজিশনের মাধ্যমে শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক মাত্রায় হতে শুরু করে। পেট এবং ইন্টেনস্টাইন এর মধ্যে সমতা রক্ষা করে। এবং হজমের সমস্যা দূর হবে।
ত্রিকনাসন : শরীরে স্টিমুলেশন মাত্রা বাড়ায়। সঙ্গেই পাচনতন্ত্রের সহায়তা করে। পাকস্থলীর আরষ্ঠ ভাব দূর করে। কোলন এবং হজমের রাস্তাকে সহজ করে তোলে। তাই এটি সারাদিনে যেকোনও সময় অভ্যাস করা ভাল।
পবনমুক্তাসন : প্রতিদিন এটিকে অভ্যাস করলে গ্যাস তথা অ্যাসিডিটির সমস্যা একেবারেই কমে যায়। শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন দুর হয়। পাচক ভাল ভাবে কাজ করতে পারে।
উস্ত্রসানা : খাবারের সঙ্গে সঙ্গে হজমের সমস্যা যেমন থাকে তেমন মানসিক ভাবে তাকে শক্ত থাকতে হয়। মাসেল এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকলে খাবার হজম হয় সহজে। স্নায়ুর সমস্যা হোক, কিংবা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, সবেতেই এটি বেশ কাজে দেয়।