অ্যাসিডিটি কিংব অম্বল যার কারণে প্রচুর মানুষের নাজেহাল অবস্থা, এটি কিন্তু ছোট থেকে বড় সকলের মধ্যেই গাঢ় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এবং সবথেকে বড় কথা হল, সামান্য অ্যান্টাসিড কিংবা সফট ওয়াটারে সাময়িক কাজ সারলেও পুরোপুরি এর থেকে রেহাই পেতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম তথা আয়ুর্বেদিক উপশম কাজে লাগাতে হবে।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডিকসা ভাবসার বলছেন, যেকোনও রোগকে প্রথম ধাপেই আটকানো উচিত, তবেই সেটি একেবারে নির্মূল হয়। অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম মানা খুব দরকার অর্থাৎ কোন কাজগুলি করলে একেবারেই সমস্যা হবে না সেগুলি করতে হবে। যেমন?
একেবারেই অতিরিক্ত ঝাল, টক এবং তেলমশলা যুক্ত খাবার খাওয়া কম করতে হবে। বিশেষ করে পচানো খাবার, ভাজাভুজি এগুলোতে ইতি টানা ভাল।
অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া বন্ধ করুন, টক জাতীয় ফল খাওয়া বন্ধ করুন।
বেশি সময়ের জন্য উপবাস করে থাকবেন না, এতে অ্যাসিডিটির পরিমাণ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে দুপুরের লাঞ্চ এবং রাত্রে খাবার খাওয়ার আগে খুচখছ কিছু খাবেন না।
অত্যধিক রসুন, চিলি অয়েল এবং আদা যুক্ত খাবার একদম খাবেন না। মেপে ঝুঁকে খান।
এবার জেনে নিন কোন টোটকা গুলি কাজে লাগবে এর থেকে সুস্থ থাকতে?
মেথি জল : সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস মেথি জল পান করা উপকারী প্রমাণিত হবে।
রান্নায় অল্প বিস্তর জিরে গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন।
মৌরি : মৌরি যেমন মুখসুদ্ধি হিসেবে দারুণ কার্যকরী, তেমনই অম্বল তাড়াতে। খাবার খাওয়ার পরে অল্প পরিমাণে খেলে অম্বল দুর হবে।
দুপুরের দিকে মৌরি এবং মিছরি ভেজানো জল অবশ্যই খান। তাহলে পেট ঠান্ডা থাকবে এবং অম্বল থেকে আরাম পাবেন।
মৌরি চা খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা পর খেতে পারেন। অনেকেই লেবু নুন দিয়ে লিকার চা খান তার থেকে এটি ভাল।
কলা : কাঁচা নয়, পাকা কলা অবশ্যই খান। চেষ্টা করবেন সিঙ্গাপুরী কলা খাওয়ার। নয়তো খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা আগে নয়তো খাবার খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর এটিকে খেতে হবে।
( দুধ দিয়ে একেবারেই খাবেন না, কিংবা অন্যান্য ফল তথা মধু এসবের সঙ্গেও না, এতে অ্যাসিডিটির পরিমাণ বাড়তে পারে )
আরও যে বিষয়গুলি সম্পর্কে তিনি উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে, ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করা তথা এসপিরিন জাতীয় ওষুধ, পেইনকিলার অযথা না খাওয়া এবং আসতে ধীরে খাবার চিবিয়ে খেতে হবে, তাড়াহুড়ো করে খেলে চলবে না।