গরমে ঘাম থেকে প্রচুর মানুষ ব্রণর সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু শীতকালে ব্রণর সমস্যায় ভোগেন এমন মানুষও কিন্তু রয়েছেন। এবং বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যাদের খুব শুকনো ত্বক তারাই কিন্তু বেশি এই সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে শীতকালের আদ্রতার অভাব এবং রুক্ষতা এই সমস্যায় আরও আগুনে ঘি ঢালার মত। ব্রণ হয় অনেকেরই কিন্তু এর দাগ মানুষকে বেশি উদ্বিগ্ন করে তোলে। কারওর একটা দুটো, কারওর আবার গেল ভর্তি! কিন্তু এই সমস্যা না কমলেই নয়!
Advertisment
ডার্মাটোলজিস্ট গুরভীন ওয়াড়াইচ ধারণা দিয়েছেন এমন তিনটি অভ্যর্থ ওষুধের যেগুলি থেকে ব্রণর দাগ অবশ্যই কমবে এবং তার মধ্যে রয়েছে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, বেনজয়ল পারঅক্সাইড, এবং রেটিনল। ব্রণর দাগ দূর করতে মানুষ অনেক কিছুই ব্যবহার করে থাকেন। সেগুলি আদৌ কাজে দেয় কিনা সেই প্রসঙ্গে ধারণা থাকা প্রয়োজন। বরং অনেক সময় দেখা যায়, এমন কিছু ব্যবহার করলেন যেগুলি থেকে এটি না কমে উল্টে বেড়েই গেল।
কেন ব্যবহার করবেন এগুলি?
স্যালিসিলিক অ্যাসিড আসলেই ভীষণ গুণ সমৃদ্ধ। বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, কমডলিটিক এবং কন্ট্রোল অয়েল সমৃদ্ধ। ফলেই এটি স্কিনকে সহজে একসফলিয়েট করতে পারে যেটি প্রয়োজনীয়। এটি ব্রণর ফোলাভাব সহজেই কমাতে পারে। কম করে ২% মত ব্রণর দাগ থেকে রেহাই দিতে পারে।
দ্বিতীয়, বেনজয়ল পারঅক্সাইড এটি ব্রণর মধ্যে থাকা পি-অ্যাকনে ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। সঙ্গেই ত্বকের প্রদাহের কারণে সৃষ্টি হয় ব্রণ তাই মুখের ত্বকের পি এইচ কন্ট্রোল করতে পারে। সবথেকে বড় কথা এটি জেল আকারে পাওয়া যায়! সুতরাং এর থেকে ভাল বোধহয় আর কিছুই নেই।
তৃতীয়, রেটিনল - এটি ভিটামিন এ ডেরিবেটিব সমৃদ্ধ। ব্রণর মাথা গুলিকে সংকুচিত করে। ক্যামদেলিক অ্যাসিড ব্রণর দাগ কম করতে পারে। এর মধ্যে থাকা কন্ট্রোল অয়েল স্কিনের জন্য ভাল।
তবে কী করবেন আর কী করবেন না জেনে নিন :-
স্বল্প পরিমাণে স্কিনে ব্যবহার করুন। প্রথমেই অত্যধিক মাত্রায় ব্যবহার করবেন না। এবং আলতো হাতে, বেশি মুখে ঘষবেন না।
যখনই মনে হবে যে স্কিনে নতুন ব্রণ বেরচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে এটি ব্যবহার করুন। তবে হ্যাঁ রাত্রিবেলা - দিনের বেলা একেবারেই নয়। পরের দিন সকালে মুখ ভাল করে ধুয়ে টোনার লাগিয়ে নেবেন।
চোখের নিচে, নাসারন্ধ্র এবং ঠোঁটের কোণায় একেবারেই ব্যবহার করবেন না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন