এখনকার সময় বাইরে বেরতে গেলে কিন্তু পয়সার ব্যাগের থেকেও বেশি দরকারি মাস্ক এবং স্যানিটাইজার। কোনও স্থানেই মাস্ক ছাড়া প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ। অবশ্যই সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, তারপরেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাস্ক পরে থাকলে আপনি পড়তে পারেন মহা ঝামেলায়! এমনই কিন্তু বক্তব্য শোনা যাচ্ছে কিছু দিকে।
এমনই একটি ধারণা মিলেছে, যে অনেকক্ষণ সময় ধরে মাস্ক পরে থাকলে নাকি শরীরে বেড়ে যেতে পারে কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রভাব এবং মাত্রা। যেকারণে অনেকেরই শ্বাস নিতে অসুবিধে হতে পারে। সেই সম্পর্কে বলতে গেলে, মাস্ক পরে কাজ করা খুব সমস্যার। এবং তার থেকেও বড় কথা দৌড়াদৌড়ি করে কাজ করতে গেলে প্রচুর মানুষের হাফ উঠে গিয়ে তাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। আবার, অনেকেরই স্কিনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মাস্ক পরা নিয়ে নানান ধরনের বক্তব্য এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়লেও আদৌ একটি কতটা যুক্তিযুক্ত সেই নিয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক!
চিকিৎসকরা কী জানাচ্ছেন এই বিষয়ে?
তাঁদের মতামত অনুযায়ী, মাস্ক কখনই শ্বাস প্রশ্বাস জনিত অসুবিধার সৃষ্টি করে না। বরং এটির ব্যবহারে ভাইরাসের ড্রপলেট আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। শুধু তাই নয়, বাতাসে ছড়িয়ে থাকা সবরকম ফ্লু এবং ডাস্ট থেকেও এটি আপনাকে রক্ষা করতে পারে। সেই কারণেই মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরনোর ক্ষেত্রে একেবারেই মানা করা হয়েছে। যেহেতু ভাইরাস হাওয়ায় ভাসছে, তাই নিজের বাড়ির বাইরে বেরলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তবে তাঁরা জানিয়েছেন ফেব্রিক অথবা কাপড়ের পরিবর্তনে হতে পারে সমস্যা!
সিডিসি এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মাস্ক পরলে আপনার শ্বাস নেওয়ার পথে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ে না। সামান্য পরিমাণ হাঁফ অনুভূত হতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে একটু হাল্কা পরিবেশ দেখে মাস্কটি নামিয়ে শ্বাস নিয়ে নিন। খুব কড়া কিংবা ভারী কাপড়ের মাস্ক পরলে একটু আধটু অসুবিধা হতেই পারে। কিন্তু নরম কাপড়ের মাস্ক অথবা সার্জিক্যাল মাস্ক পরলে এই ধরনের অসুবিধে হওয়ার কথা নয়, তার কারণ - কাপড়ের ছিদ্র এবং ফাঁক থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে যেতে পারে। সেই কারণেই এই ধরনের মাস্ক গুলিও পড়তে মানা করা হয়েছে। কারণ কোভিডের ড্রপলটের আকার co2 এর থেকে অনেক বেশি। সুতরাং ফিল্টার যুক্ত মাস্ক যদিও ব্যবহার করা হয় তবে কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রভাব একেবারেই পরে না। এবং এন ৯৫ মাস্কের মধ্যে দিয়ে একেবারেই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে না, সুতরাং সংক্রমণের ভয় নেই।
তবে যে বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন?
মাস্ক পরে বেশি দৌড়াদৌড়ি না করাই ভাল। এতে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা থাকতে পারে।
একনাগাড়ে অনেক সময় মাস্ক পড়ে থাকবেন না, হালকা এলাকায় যেখানে লোকজন একদম নেই সেখানে গিয়ে মাস্ক খুলে একটু শ্বাস নিন। সার্জিক্যাল মাস্ক হলে ৬/৭ ঘণ্টা পরপর সেটিকে পরিবর্তন করুন।
২/৩ ঘণ্টা পর পর মুখ ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে, বিশেষ করে মাস্ক পরিহিত অঞ্চলে জল দিয়ে ধুয়ে টোনার লাগান এতে স্কিনের সমস্যা দূর হবে। তবে যাই হয়ে যাক, বাড়ির বাইরে থাকলে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন