এমন কোনও সম্পর্ক এই পৃথিবীতে নেই যার মধ্যে অশান্তি, কিংবা ঝামেলা নেই। অনেকেই আছেন যারা সম্পর্কে কোনও রকম ঝুটঝামেলা পছন্দ করেন না, তারপরেও একটি আধটু হয়েই থাকে। কিন্তু সমস্যা বলছে অন্য কথা। কখনও কখনও এটি মাত্রা অতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেলেই কমই গোলযোগ বাঁধে। এবং একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে এর সঙ্গেই মানসিক অশান্তি চাগাড় দেয়।
যেকোনও সম্পর্কে একটু উপর নীচ হাওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয় এবং সেই কারণেই কিছু সময় নিজেকে আটকে রাখা বড় দায়! তবে পরবর্তী পরিস্থিতিকে কিন্তু একেবারেই নিজের আয়ত্বে রাখা যায়। যাতে অশান্তির পরিসর না বাড়তে পারে। প্রসঙ্গেই, মনস্তত্ত্ব বিদ গরিমা জুনেজা বলেন, পাঁচটি এমন উপায় আছে যেটি ঝামেলা পরবর্তীতে মেনে চললেই কিন্তু মাথা ঠান্ডা রাখা একেবারেই সহজ হয়। নিজের সঙ্গে সঙ্গেই চারপাশের পরিস্থিতিকে মানিয়ে নেওয়া যায়।
পরিস্থিতি থেকে দূরত্ব : তর্ক বিতর্কের পরেই কিন্তু সকলেই আবেগ এবং অনুভূতির একটি উচ্চতর মনোভাব সকলের থাকে। তখন ভুল বোঝাবুঝির মাত্রা বেশি থাকে। তার সঙ্গেই যে ধরনের অবস্থা চারিপাশে থাকে তখন বেশি এক জায়গায় থাকলে আরও অবনতির সম্ভাবনা থাকে। তাই নিজেকে ওই মুহূর্তের জন্য সরিয়ে নিন। বাইরে চলে যান, এড়িয়ে যান। দরকার পড়লে জিমে যেতে পারেন, হাঁটতে যেতে পারেন।
মনের মত গান শুনুন কিংবা ধ্যান করুন : বিভ্রান্তি থেকে এই সময়। তাই নিজেকে শান্ত করতে গান শুনতে পারেন। যেটি আপনি পছন্দ করে তাতে নিযুক্ত হন। মন শান্ত করা খুব দরকার সঙ্গে চিন্তাভাবনা বেরিয়ে আসা আরও দরকারি। স্ট্রেস রাখবেন না, বরং নিজেকে এর থেকে বের করে নিয়ে আসুন।
নিজের ওপর একটু ভাবনা চিন্তা করুন : বেশিরভাগ সময় তর্ক বিতর্ক চলাকালীন আমরা সেই দিকেই ধ্যান দি যে অপরজন কী বলছেন, আঘাত সুলভ কিছু কথা আমরা মস্তিষ্কে গেঁথে নিই। তবে সবসময় এটি না করে আবেগ থেকে বেরিয়ে এসে সঠিক হল, নিজেদের দোষের দিকেও আলোকপাত করা। এবং কীভাবে নিজেকে আয়ত্বে রাখতে পারতেন সেই বিষয়টিও। ভবিষ্যতে কীভাবে মোকাবিলা করবেন সেটিও ভাবনার বিষয়।
অন্যের সঙ্গে কথা বলুন : যদি দোষ আপনার হয় তবে অবশ্যই কথা বলে মিটিয়ে নিন। পারলে ক্ষমাও চান। যদি মনে হয় অন্যজন দোষী হবে শান্ত মাথায় তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। ভুল থেকেই মানুষ শেখে। দ্বিমুখী যোগাযোগ সম্পর্কের আসল মাপকাঠি। তাই সম্ভাবনা রাখলেই চলবে না, দূরত্ব মিটিয়ে কথা বলুন। নয়তো মনে হলে অল্প সময়ের জন্য একা ছেড়ে দিন।
ঘটনার বাস্তবায়ন করুন : বেশিরভাগ বাস্তবায়নই জটিল। আবেগ দ্বারা প্রভাবিত হোওয়ার কারণে সবকিছুতেই তালগোল পাকিয়ে যায়। তবে এর থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার। অন্তত কখন আপনাকে থামতে হবে কখন নিজের মতামত প্রদর্শন করতে হবে এবং কখন গুরুত্ব দিতে হবে সেইগুলি বিবেচনা করা উচিত। কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস ত্যাগ করা, আবেগ পরিচালনা করা, আত্মসংযম পর্যবেক্ষণ করা অনিবার্য। তবে এর মাত্রা একেবারেই কম থাকবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন