নতুন মাতৃত্বের পূর্ব এবং পর মুহূর্ত প্রতিটি মেয়ের কাছে ভীষণ দামি। এবং এই নির্দিষ্ট সময়ের কোনোকিছুই আর ফিরে পাওয়া যায় না। মা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে যেমন ভীষণ ধকল পরে তেমনই মনে থাকে একরাশ আনন্দ। তারপরেও বাচ্চার যত্ন নিতে গেলে নিজেকেও কিন্তু শারীরিক ভাবে ফিট থাকতে হবে। আর বিশেষ করে যারা শীতকালে মা হচ্ছেন তাদের জন্য প্রয়োজন আরও বেশি দেখভাল।
পুষ্টিবিদ নিতিকা কোহলি শেয়ার করেছেন বেশ কিছু টিপস যেগুলি নতুন মায়েদের শরীরের স্বার্থে দারুণ কাজে আসবে। তিনি বলেন, এই সময় সবকিছুই বেশ নতুন এবং বেশিরভাগ মেয়েরাই নানানভাবে ভয় পান। শিশুর দিকে নজর দিতে গিয়ে নিজের কথাও একেবারেই ভুলে যান। তবে অল্প অল্প করে এইসময় থেকেই নিজের যত্ন নেওয়া খুব দরকার। মা হওয়ার বিষয়টি একেবারেই আশির্বাদ তবে এর সঙ্গেই শরীরে নানান ধরনের পরিবর্তন এবং খামতি কিন্তু থেকে যায়, তাই বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক নিয়ম মেনে চললে বেশ ভাল। সেগুলি কী কী?
প্রথম, কান মাথা ঢেকে রাখা জরুরি এইসময়। শরীরে স্নিগ্ধতা বজায় রাখতে গেলে হালকা একটি সুতির কাপড় দিয়ে এটি করুন।
দ্বিতীয়, মানসিকভাবে ভীষণ উৎফুল্ল হতে হবে। কারণ মা এবং শিশুর মধ্যে সম্পর্ক খুব জোড়ালো হয় এইসময়। তাই বাচ্চার খাতিরে এই সময় একেবারেই কোনও ভাবে মনখারাপ করা চলবে না। নিজেকে আপাদমস্তক ভাল রাখতে হবে।
তৃতীয়, প্রতিদিনের খাবারে ফ্লুইড জাতীয় কিছু খাওয়া অবশ্যই দরকার। হাইড্রেশন যেকোনও শরীরের জন্য দরকার। হালকা উষ্ণ জল, স্যুপ জাতীয় খাবার এবং নানা ধরনের চা তার মধ্যে গ্রিন টি, হিবিস্কাস টি এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডা খাবার না খাওয়াই ভাল।
চতুর্থ, অল্প করে ঘি প্রতিদিন খান। এতে হজম যেমন ভাল হয় তেমনই শরীরে শক্তি সরবরাহ হয়। যেসব খাবার খেতে কষ্ট হয় এবং গ্যাস অম্বলের সমস্যা হয় সেইসব খাবার অন্তত প্রথম ২/৩ মাস না খাওয়াই ভাল।
পঞ্চম, বিশ্রাম নেওয়া এইসময় খুব দরকার। বিশ্রাম এর একমাত্র ওষুধ। ঘরের ভারী কাজ থেকে, কম্পিউটার এমনকি বসে থাকার কাজও অন্তত ২ মাস না করাই ভাল। ভাল বই পড়তে পারেন। গান শোনা ভাল। তবে মনকে কষ্ট দিয়ে এবং শরীরকে সুস্থ না রেখে কিছুই করবেন না।
মাতৃত্বের প্রতিটি দিন সুন্দর হোক, নিজের যত্ন নিলেই আপনার শিশুটিও ভাল থাকবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন