করোনা আতঙ্কের সঙ্গেই চারিদিকে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। ক্রমশই প্রচুর মানুষ এই ভ্যারিয়েন্ট দ্বারাই আক্রান্ত হচ্ছেন। এবং গবেষণা অনুযায়ী, এর কারণে মৃত্যুর কবলেও কিন্তু পড়তে পারেন মানুষ। যখনই কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট সমাজ এবং স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে থাকে তখনই কিন্তু এর ক্ষমতাও বাড়তে থাকে। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে সংক্রমণের দুটি পর্যায় দেখা যাচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এর আগে যখন ডেল্টা দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, বেশিরভাগই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেনি, তাই উপসর্গের মাত্রা এবং প্রভাব দুটোই সকলের ক্ষেত্রে ছিল একইরকম। তবে এবার রয়েছে সমস্যা! বেশিরভাগ মানুষ ভ্যাকিসন গ্রহণ করেছেন, আর খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষই টিকা গ্রহণ করে নি। তাই দুই দলের মধ্যে উপসর্গও থাকছে ভিন্নরকম।
তারা বেশি করেই জানাচ্ছেন, যাদের ভ্যাকসিন নেওয়া নেই তাদের মধ্যে, দেখা যাচ্ছে সমস্যাজনিত বিষয়। কেউ কেউ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। আবার বেশিরভাগই ভুগছেন অত্যন্ত গা হাত পা যন্ত্রণায়! কেউ কেউ ভুগছেন অ্যালার্জির সমস্যায়। তবে একথা জানা যাচ্ছিল, যে এর থেকে হালকা উপসর্গই সম্ভব। হালকা জ্বর, সর্দি কাশি এগুলোই সমস্যা সৃষ্টি করছিল। কিন্তু এখন বদলাচ্ছে বেশ কিছু বিষয়। যেসব মানুষ আগে থেকেই করোনা আক্রান্ত তাঁদের সংস্পর্শে এলে কমপক্ষে তিন থেকে সাতদিন নিজেদের সতর্কে রাখুন, প্রয়োজনে একবার টেস্ট করিয়ে নিন।
যেমন, নতুন সমস্যার মধ্যে পিঠে এবং শিরদাঁড়ায় ব্যথা ওমিক্রন সংক্রমণের আরেক উপসর্গ। একটি সংক্রমণের থেকে নতুন উপসর্গ যে হতেই পারে সেই সম্পর্কে মার্কিন প্রদেশের এক গবেষণা সংস্থা বেশ কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন। এবং এখানেই শেষ নয়! সামনে আসতে পারে অন্য কোনও ভ্যারিয়েন্ট। সেই কারণেই ভ্যাকসিনের নিজে থেকে আপডেট হওয়া বেশ দরকারি।
আরও পড়ুন < কোভিড পরবর্তীতে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন? তবে এই নিয়মগুলি মেনে চলুন >
ওমিক্রন থেকে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হলেও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন হাতে গুনে ২ মাস, তারপরেই কিন্তু এটিও ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। সুতরাং মিউটেশন এফেকটিভ ইমিউনিটি পাওয়া খুব সহজে সম্ভব নয়। তবে থাকছে এতেও সমস্যা! অনেক চিকিৎসক এমন জানাচ্ছেন যে, প্রথমে মাইল্ড কিন্তু পরবর্তীতে হতে পারে সাংঘাতিক উপসর্গ, সুতরাং সতর্ক থাকতেই হবে। একটু ঠাণ্ডা লাগলেও আপনি পরবর্তীতে ভুগতে পারেন এর থেকে।
বিশেষ করে সুগার, লাংস এবং হার্টের রোগীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে খুব সমস্যা। গলা খুসখুস হোক কিংবা চুলকানো, অবশ্যই সাবধান এই লক্ষণ থেকে। যদি রাত্রিবেলা প্রচন্ড ঘাম হয় তবেই কিন্তু একটু হলেও সতর্ক থাকা উচিত। বমি যদি মারাত্মক মাত্রায় হতে থাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। খিদে কম, কিংবা রাত্রিবেলা ঘাম হচ্ছে, তাহলেও ওষুধ খান।