/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/after-noon-nap.jpg)
প্রতীকী ছবি
দুপুর গড়ালেই ঘুম পায়? বিশেষ করে এই দুপুরের ঘুমের মধ্যে অনেকেই প্রশস্ত শান্তি খুঁজে পায়। অনেকেরই ধারণা, দুপুর বেলা একটু আধটু ঘুম না হলে পরের দিকে কাজ করতে একটু বেশিই অসুবিধে হয়। কিন্তু এই ঘুমের কারণে আসলেই আপনিও সমস্যায় পড়তে পারেন। তার কারণ? দুপুরের ঘুম পেশীকে আরও শিথিল করে দিতে পারে। ধারণা দিচ্ছেন ঐশ্বর্য্য সন্তোষ।
দুপুরে ঘুমালে কী হতে পারে?
আয়ুর্বেদ বলছে, দুপুর বেলার ঘুম মানুষের শরীরে স্নিগ্ধ প্রভাব ফেলে। এর থেকে নানা অসুবিধা দেখা দিতে পারে। গুণের অভাব দেখা দিতে পারে। পেশী শিথিল হয়ে পড়ে। মানুষের শরীরে কাফা দশার প্রভাব আরও বেশি করে দেখা যায়।
বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরেই ঘুম, এটা দিনে কিংবা রাতে একেবারেই উচিত নয়। অন্তত শোয়ার আগে ১ ঘণ্টা হাঁটাচলা করা কিংবা বসে থাকা আবশ্যিক বিষয়। নইলে খাবার হজম হবে না। শরীরে দুর্বলতা দেখা দেবে।
দিনের বেলায় কারা ঘুমাতে পারেন?
ছোট শিশুরা অবশ্যই এই সময় তাদের ঘুমানো উচিত। দ্বিতীয়ত, যারা অনেক ভোর থেকে ক্লান্তির কাজ করেছেন, তাদের শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজন। তৃতীয়, বয়স্ক মানুষজন। যারা একেবারেই না ঘুমিয়ে থাকতে পারবেন না। অনেক সময় ধরে যারা ভ্রমণ করেছেন তাদের ঘুমানো উচিত। এবং যারা শারীরিক ভাবে দুর্বল অথবা, একেবারেই ওজনে কম।
গরমেই কী এই ঘুমের মাত্রা বাড়ে?
কথায় বলে আমের মুকুল এলে ঘুম বেড়ে যায়। এছাড়াও এই সময় চারিপাশের পরিবেশ বেশ রুক্ষ হয়, মানুষের শরীরে এক দুর্বলতা গ্রাস করে। গরমের হাওয়ায় কিন্তু মানুষের নাজেহাল অবস্থা থাকে তারপরেও দুপুরে ভাতঘুম অনেকেই পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন < ধূমপানে জর্জরিত? এই আয়ুর্বেদিক ওষধি-গুলিই মাত্রা কমাতে পারে >
কাদের একেবারেই ঘুমানো উচিত নয়?
যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগী। কিংবা যারা, হজমের গোলমাল ভুগছেন।
যাদের শরীরে ব্যাথা বেদনা বেশি রয়েছে তাদেরও ঘুমানো দুপুরবেলা বন্ধ করা উচিত।
বিশেষ করে শীতকালে এবং বসন্তে ঘুমানো একদম উচিত নয়।
দুপুরে ঘুমালে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
শরীরে ভারী ভাব, এবং খাওয়ায় অ্যালার্জি
অত্যধিক মাথা ব্যথা কিংবা নাক জ্বলুনি
ক্রনিক রাইনিটিস অথবা পেশীতে টান