Advertisment

অ্যাগোরাফোবিয়া কী? আপনিও এই রোগের শিকার নন তো?

অ্যাগোরাফোবিয়া একটি মানসিক সমস্যা, এবং তার যথার্থ চিকিৎসা প্রয়োজন। এই রোগে আক্রান্ত এবং রোগীর কাছের মানুষের তা মাথায় রাখা দরকার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অফিসের ডেডলাইন পেরিয়ে গেলে কী হবে? পরীক্ষায় ফেল করলে? ট্রেন ধরতে না পারলে কী হবে? এই কী হলে কী হবে, সেই ভয়েই আমরা জীবনটা বাঁচতে ভুলে যাই অনেকে। সারাদিন ভয়ে ভয়ে থাকি, এটা হলে কী হবে, ওটা হলে? আমরা আসলে নিজেরাই বুঝে উঠিনা, এক ধরনের ভয় গ্রাস করে নিচ্ছে আমাদের। সেরকমই এক ভয়ের নাম অ্যাগোরাফোবিয়া। মূলত এই ভয় পাঁচ রকমের- যানবাহনে উঠে ভয়, খোলা জায়গায় থাকার ভয়, বদ্ধ জায়গায় থাকার ভয়, ভিড়ে লাইনে দাঁড়ানোর ভয় আর ঘরের বাইরে একা থাকার ভয়।

Advertisment

ভয় থেকে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় মানুষের মধ্যে। একান্তই যদি পরিস্থিতি আসে সেরকম, একা মোকাবিলা করতে খুব ভয়, বরং সঙ্গে কেউ থাকলে ভালো হয়।

আরও পড়ুন: প্রাপ্তবয়সে মনের দেখভাল করে সোশাল মিডিয়াই, বলছে সমীক্ষা

শারীরবৃত্তীয় কারণ: এ ক্ষেত্রে নিউরো ট্রান্সমিটারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে সেরোটোনিন কম থাকলে অ্যাগোরাফোবিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

জিনগত কারণ: উদ্বেগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জিনবাহিত হয়। মা বাবা কারোর মধ্যে উদ্বেগজনিত সমস্যা থাকলে খুব সহজেই সন্তানের মধ্যে তা চলে আসে।

মনস্তাত্ত্বিক কারণ: আতঙ্ক, কাছের মানুষের মৃত্যু, সম্পর্কে সমস্যা, কাজের চাপ, পরিবেশে বদল অনেক ক্ষেত্রেই উদ্বেগের জন্ম দেয়।

গবেষক-চিকিৎসকরা বলছেন উদ্বেগ কমানোর জন্য মনস্তাত্ত্বিক সাহায্য খুব কাজে দেয়। আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মান বাড়িয়ে তুলতে পারলে ভয় এমনিতেই অনেকটা কমে যায়। আর কাউন্সেলিং এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে সমস্যা আরও কমে যায়।

অ্যাগোরাফোবিয়া একটি মানসিক সমস্যা, এবং তার যথার্থ চিকিৎসা প্রয়োজন। এই রোগে আক্রান্ত এবং রোগীর কাছের মানুষের তা মাথায় রাখা দরকার। অনেকেই না বুঝে অ্যাগোরাফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে হাসাহাসি করে আক্রান্তের আত্মবিশ্বাস আরও কমিয়ে দেন।

Read the full story in English

Advertisment