এখন ডায়াবেটিস হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। অল্পবয়সী থেকে বয়স্ক মানুষ - সকলেরই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং খুব সাধারণ একটি প্রশ্ন সকলের মধ্যেই থাকে যে ডায়াবেটিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কী খাবারের বদল ঘটাতে হবে, কিংবা সহজ কথায় বলতে গেলে, ডায়াবেটিসে কী কী খাওয়া যায় আর কী কী যায় না? বিশেষ করে অ্যালকোহল সেবন নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে।
টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং অ্যালকোহল - এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক সাংঘাতিক। বিশেষ করে অনেকেই মনে করেন অ্যালকোহল পান থেকেও তাদের শরীরে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে। যদিও বা ডায়াবেটিসের আরও অন্যান্য কারণ থাকতেই পারে তবে মদ্যপান কিন্তু তার মধ্যে অন্যতম। এর থেকে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই ডায়াবেটিক হওয়ার সম্ভাবনাও সাংঘাতিক।
ডায়াবেটিসে অ্যালকোহল এড়িয়ে যাওয়া উচিত?
সাধারণত পান না করার উপদেশ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে যাদের ডায়াবেটিস একেবারেই আয়ত্বে নেই তাদের আরও মুশকিল। অত্যধিক মাত্রায় মদ্যপান কিংবা অতিরিক্ত সময় ধরে মদ্যপান - শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকসময় অতিরিক্ত মদ্যপান মানুষের আচার ব্যবহারে বদল আনে। তার সঙ্গেই খিদে বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। এর থেকে নানা বিপদ ঘটতে পারে। হাই ব্লাড প্রেসার কিংবা হার্ট লিভারের সমস্যা খুব সাধারণ এই ক্ষেত্রে। এমনকি বাড়তে পারে ক্যান্সারের মাত্রাও। এর থেকে সুগারের রোগীদের সেইভাবে সমস্যা না হলেও নিজের সতর্ক থাকা উচিত। অন্তত অর্গান ড্যামেজ করতে এর থেকে খারাপ কিছুই আর হতে পারে না।
কত মিলিলিটার শরীরের পক্ষে গ্রহণযোগ্য?
এক ইউনিট অ্যালকোহল অর্থাৎ ১০ গ্রাম, এইভাবে পরিমাপ করা হয়। কতটা ইউনিট রয়েছে অ্যালকোহলে সেটা অবশ্যই দেখে নেওয়া দরকার। ২.৫ ইউনিট পর্যন্ত অ্যালকোহল তাও শরীরের পক্ষে ঠিকঠাক। আর যদি এই ধরনের পানীয়, কোল্ড ড্রিঙ্ক অথবা সফট ড্রিংকের সঙ্গে পান করা হয় তবে তাতে অত্যধিক ক্যালোরি থাকে। বরং তার জায়গায় ফলের রস, জিন টনিক কিংবা রাম অথবা ডায়েট কোলা এসব দিয়ে পান করাই সবথেকে ভাল।
স্ন্যাকস রাখা উচিত নাকি নয়?
ভাজাভুজি কিংবা এজাতীয় জলখাবার একেবারেই রাখা উচিত নয়। এর থেকে ক্ষতিকর ফ্যাট দেখা দিতে পারে। এর থেকে বরং স্যালাড কিংবা রোস্ট করা খাবার যেমন মাখন অথবা ডিমের সাদা অংশ। এমনকি খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে অ্যালকোহল পান করা একেবারেই ভাল নয়।
কী কী বিষয় জানা উচিত?
- দুই ইউনিটের বেশি অ্যালকোহল একেবারেই পান করবেন না।
- হাই ব্লাড প্রেসার, হার্ট, লিভার এমনকি কিডনির রোগে একেবারেই এটি থেকে বিরত থাকুন।
- সঠিক মাত্রায় জল খান মাদকের সঙ্গে, তাহলে শরীরের আদ্রতা বজায় থাকবে।
- কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার অবশ্যই খান।
- আস্তে ধীরে সময় নিয়ে পান করুন।
- ব্লাড গ্লুকোজ অবশ্যই মনিটর করুন, বিশেষ করে যদি হেভি ড্রিঙ্ক করে থাকেন।