স্যানিটাইজার থেকে প্রসাধনী অ্যালকোহলের ব্যবহার এখন সর্বত্রই। বলা উচিত, এটির ব্যবহারে অনেক প্রসাধনী স্কিনের পক্ষে দারুণ কাজ করতে শুরু করেছে। তবে এই অ্যালকোহলের মধ্যেও কিন্তু বিভেদ রয়েছে কোনোটা ভাল আবার কোনোটা খারাপ। প্রথমটি ত্বকের চর্চায় দারুণ কাজ করে, স্কিনকে উজ্জ্বল করে, আর দ্বিতীয়টি স্কিনে অ্যালার্জি কিংবা শুষ্কতার সৃষ্টি করে। এমনই দীর্ঘ সময়ের জন্য ত্বকে রুক্ষভাব, চামড়ার ফ্লেক খসে পড়া এই জাতীয় সমস্যা দেখা যায়।
কোন ধরনের প্রসাধনীতে অ্যালকোহলের মাত্রা দেখা যায়?
ময়েশ্চারাইজার, ডিসলভ অয়েল, টোনার এই জাতীয় প্রসাধনী গুলিতে পাওয়া যায়। সঠিক পরিমাণ ph ব্যালেন্স বজায় রাখতে এটি বেশ ভাল কাজ করতে পারে।
কেন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট গুলোতে অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়?
চিকিৎসক এবং ডার্মাটোলজিস্ট গুঞ্জন বলছেন, স্কিনে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যান্টিসেপটিক যাতে সঠিক থাকে। তৈলাক্ত ভাব সঠিক মাত্রায় থাকে সেইদিকে বিচার করেই এগুলি ব্যবহার করা হয়। অ্যালকোহল ছত্রাক এবং ভাইরাসকে বিস্তার করা থেকে রোধ করে।
ডার্মাটোলজিস্ট মঞ্জুল আগরওয়াল বলছেন, মূলত প্রসাধনীতে ইথানোল এবং আইসপ্রপাইল এর মত দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। এগুলি এমন একটি উপাদান যাকে সহজে জলে দ্রবীভূত করা যায়। দ্বিতীয় অ্যালকোহল দ্রুত ত্বকে প্রবেশ করতে পারে। এবং এই কারণেই ত্বকে তাড়াতাড়ি শুষে যেতে পারে। যাতে ত্বকের গভীরে এটি কাজ করতে পারে, সেই কারণেই অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়। প্রসাধনীতে এবং ব্যাকটেরিয়াস্টিক ক্রিম গুলিতে অনেকসময় অ্যালার্জির সমস্যাও হতে পারে।
ভাল এবং খারাপ অ্যালকোহলের ব্যবহার তাও আবার প্রসাধনীতে জানুন :
গুঞ্জন বলছেন বেশ কিছু অ্যালকোহলে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যেগুলো অল্প মাত্রায় এবং আলতো হাতে ব্যবহার করলেই সেটি শরীরের পক্ষে ভাল। যেমন সেটিল অ্যালকোহল, প্রপায়লিন অ্যালকোহল, স্টেয়ারিল অ্যালকোহল ইত্যাদি। এটি স্কিনে ময়েশ্চার ভাব ধরে রাখে এবং হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। এমনকি রেটিনল যেটি বেস্ট স্কিন টাইপ অ্যালকোহল এর মধ্যে একটি- অ্যান্টি এজিং, ব্রণর মাত্রা কম করে।
এবং যেগুলি খারাপ অ্যালকোহল সেগুলির থেকে স্কিন শুকিয়ে যায়। স্কিনের পাতলা চামড়া উঠতে থাকে। চুলকানো অনুভূত হয়, যেমন ইথানোল, প্রপ্রনোলোল, মিথাইল এগুলি।
কত পরিমাণ অ্যালকোহল আসলেই স্কিনের জন্য ভাল?
তখনই ভাল যদি এটি কম পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। যতটা পারবেন কম পরিমাণে এটিকে ব্যবহার করবেন। ফ্যাটি অ্যালকোহল স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। তবে সেনসিটিভ স্কিন হলে এটির থেকে আপনার দূরে থাকাই ভাল।