পুচকি লেজ, খুদে খুদে চারটে পা, উচ্চতা মাটি থেকে মোটে দু-তিন হাত...সকাল হতেই বাড়ির সামনের উঠোনে মায়ের সঙ্গে খিলখিলিয়ে উঠল সে। মায়ের আদর খেতে খেতে, চড়া রোদে দৌড় লাগাল। দেখে মনে হবে সক্কাল সক্কাল জগিং করছে। ওর নাম মুনিয়া। এই মুহূর্তে আলিপুর চিড়িয়াখানায় সবার নয়নের মণি। গত মাসের ২৩ তারিখের কথা, সকাল তখন সাড়ে নটা। তৃণা জন্ম দিল আরেক কন্যা সন্তানের। সেই মুনিয়াকে ঘিরে এখন সরগরম চিড়িয়াখানার জিরাফ পরিবার। শুধু জিরাফরাই নয়, নতুন এই জিরাফ ছানাকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত চিড়িয়াখানার কর্মীরাও।
src="https://www.youtube.com/embed/JWHDAE5CeyQ" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
বাড়িতে সন্তান হলে যেমন আনন্দে মেতে ওঠেন পরিজনরা, ঠিক তেমনই নতুন এই জিরাফ ছানাকে ঘিরে এই মুহূর্তে আনন্দে মেতে চিড়িয়াখানার কর্মীরাও। সকাল হতেই বাড়ির সামনের উঠোনে ছোট্ট মুনিয়ার কাণ্ড দেখে চিড়িয়াখানার এক কর্মী বলে উঠলেন, "যা দস্যি হয়েছে!" আরেক কর্মী সস্নেহ গর্বে বললেন, "ওই যে, খেলা দেখাচ্ছে।"
চিড়িয়াখানার এই নতুন অতিথিকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই। ছোট্ট চার পা সামনে এলেই মোবাইল হাতে দাঁড়িয়ে পড়ছেন। চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিস কুমার সামন্ত জানালেন, "আগে নটি জিরাফ ছিল, মুনিয়াকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় এখন হলো দশ।" মুনিয়ার মা তৃণার জন্মও আলিপুর চিড়িয়াখানায়। তবে তৃণার মায়ের জন্ম জার্মানিতে। ১৯৮৬ সালে জার্মানি থেকেই তৃণার মা কলকাতায় আসে।
src="https://www.youtube.com/embed/AhjdJauiCL4" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
আরও দেখুন, কলকাতার ঐতিহ্যের অন্যতম ঘোড়ায় টানা গাড়ি, দেখুন ভিডিও!
এ তো গেল মুনিয়ার কথা। পাশাপাশি এই মুহূর্তে চিড়িয়াখানায় রয়েছে আরেক নতুন চমক। শিম্পাঞ্জিদের খেলার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ খাঁচা। যে খেলা চাক্ষুষ করার সুযোগ পাবেন আপনিও। কখনও দোলনায় দুলুনি তো কখনও খাঁচায় লম্ফঝম্প, শিম্পাঞ্জিদের কেরামতি দেখলে আমোদ হবেই।
এই কড়া রোদ আর প্যাচপ্যাচে গরমে সবুজের মাঝখানে বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটাতে হলে একবার ঢুঁ মারতেই পারেন চিড়িয়াখানায়। মুনিয়ার দেখা তো পাবেনই, সঙ্গে থাকছে আরও অনেকে।