অ্যালার্জি এখন বহু মানুষের শরীরেই দেখা দিতে পারে। কারওর খাবার থেকে তো কারওর রোদ থেকে কিংবা কারওর আপনাআপনিই অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। অ্যালার্জিক রাইনিটিস আসলে এই জাতীয় একটি রোগ, যায় কারণ অনেক কিছুই হতে পারে। এটিকে চিকিৎসার ভাষায় 'hay fever' বলা হয়ে থাকে। এক ধরনের অ্যালার্জি যেটি অ্যালার্জেন নামক বায়ুবাহিত কণার মাধ্যমে ঘটতে পারে। নাক মুখ দিয়ে সেগুলি শরীরে প্রভাব বিস্তার করে।
সাধারণত শ্বাস প্রশ্বাসে বিপত্তি সৃষ্টি করে। নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ বিজয় বর্মা বলছেন, এই অ্যালার্জির রোগীদের নাক বন্ধ, হাঁচি, কান ব্যাথা, কানে তালা লেগে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট এবং গলা ব্যথা সহ্য অনেক কিছুই হতে পারে। সব বয়সের মানুষকেই এই রোগ প্রভাবিত করতে পারে।
কী কী কারণে হতে পারে এই রোগ?
অবশ্যই সিজনাল পরিবর্তন কিংবা আবহাওয়ার কারণে এটি হতে পারে। আবার পারিবারিক সূত্রেও এই রোগ অনেকের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এছাড়াও বাইরের নানা দূষিত কণা, ধুলো বালি এগুলির থেকেও সারাবছর কষ্ট দিতে পারে এই অ্যালার্জি।
চিকিৎসা পদ্ধতি :-
চিকিৎসার প্রথম এবং প্রধান উপায়, পারিবারিক পরীক্ষা করা। আদৌ আগে থেকে কেউ এই রোগে আক্রান্ত কিনা সেটি জানা দরকার। এছাড়াও রোগীর মনিটরিং প্রয়োজন। এছাড়াও স্কিন প্রিক টেস্ট এর প্রয়োজন রয়েছে। সেরাম স্পেসিফিক ব্লাড টেস্ট এমনকি ইমিউনথেরাপির প্রয়োজন রয়েছে।
এটিকে কমানো সম্ভব?
এটি একেবারেই ছোঁয়াচে নয় বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আসতে ধীরে মিলিয়ে যায়। তবে একে নির্মূল করার জন্য বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। এবং এর সবথেকে ভাল উপায় হল, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। নিজস্ব হাইজিন বজায় রাখা। হাত ধোয়া বারবার তার মধ্যে অন্যতম। পশু পাখির গায়ে হাত দেওয়ার পর নিজেকে পরিস্কার রাখা। এবং সফট টয়ের থেকে দূরে থাকা। সূর্যের আলোয় ম্যাট্রেস রেখে দেওয়া। এছাড়াও নাসল স্প্রে ব্যবহার করা। প্রয়োজনে স্প্রে সঙ্গে রাখা।