ব্যস্ত জীবনযাপন, সারাদিনের ধকল সামলাতে গিয়ে নিজের খেয়াল রাখার সময় পান না একেবারেই? আবার নটা-ছটার অফিস আওয়ার্সেও ওষ্ঠাগত প্রাণ, তাই সাজগোজের সময় নেই একেবারেই। কাজেই সব তালগোল পাকিয়ে একাকার। এই যদি আপনার রোজনামচা হয় তাহলে আপনার জন্য রইল কিছু চটজলদি সমাধান।
ত্বকের জন্য আমন্ড অয়েলের বিকল্প নেই। এই তেল হাইপোঅ্যালার্জেনিক, তাই শিশুদের ত্বকেও নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। ত্বক খুব তাড়াতাড়ি এই তেল শোষণ করে নেয়। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে দাগহীন, ঝকঝকে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আমন্ড অয়েলে প্রচুর ভিটামিন ই থাকে, যার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব ঠেকাতে সক্ষম। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না। আমন্ড অয়েলের কোলাজেন ত্বকের বলিরেখা ঠেকায় এবং চোখের কোলের ডার্ক সার্কলস ঠেকাতেও তা দারুণ কার্যকর। স্ট্রেচ মার্কসে নিয়মিত আমন্ড তেল লাগানো যায় তা হলে তা ক্রমশ মিলিয়ে যেতে আরম্ভ করে।
আরও পড়ুন, করোনা ভাইরাস থেকে আপনার সন্তানকে বাঁচাতে কী কী সতর্কতা নেবেন?
হেয়ার এক্সপার্টরা বলেন, আমন্ড অয়েল চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও দারুণ কার্যকর। নিয়মিত ম্যাসাজ করুন শ্যাম্পু করার আগে, তা হলেই ফারাকটা বুঝতে পারবেন। এর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে শক্তপোক্ত করে তোলে। তা ছাড়া, নাছোড় খুশকি তাড়াতে ও স্ক্যাল্পকে আর্দ্র রাখতেও আমন্ড অয়েল দারুণ উপযোগী বলে মনে করেন অনেকে।