/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/29/alwar-travel-guide-1-2025-10-29-18-26-31.jpg)
Alwar Travel Guide: রাজস্থানের আলওয়ার ভ্রমণ।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/29/alwar-travel-guide-2-2025-10-29-18-27-06.jpg)
মরুভূমির বুকে ইতিহাস
Alwar Travel Guide: রাজস্থান—রাজা-মহারাজাদের দেশ, মরুভূমির বুকে ইতিহাসের মুকুট। এই রাজ্যের হৃদয়ে অবস্থিত ছোট্ট শহর আলওয়ার, যেখানে রাজকীয় ঐতিহ্য আর প্রকৃতির শোভা একসঙ্গে মিশে গেছে। দিল্লি থেকে মাত্র ১৬০ কিমি দূরে এই শহরে ঘুরতে গেলে মনে হয় যেন সময় থেমে গেছে রাজপুত আমলে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/29/alwar-travel-guide-3-2025-10-29-18-27-32.jpg)
সিলিসেরহ লেক প্যালেস (Siliserh Lake Palace)
১৮৪৫ সালে মহারাজা বিনয় সিং তাঁর স্ত্রী রানি শিলার জন্য তৈরি করেছিলেন এই প্রাসাদ ও হ্রদ। পাহাড়ের কোলে নীল জলরাশির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা এই প্রাসাদ একসময় ছিল রাজপরিবারের গ্রীষ্মকালীন নিবাস। আজ এটি এক সুন্দর হেরিটেজ হোটেল, যেখানে সকালে সূর্যোদয় আর বিকেলের আলোয় লেকের প্রতিফলন মনে গেঁথে যায়।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/29/alwar-travel-guide-4-2025-10-29-18-28-09.jpg)
সারিস্কা টাইগার রিজার্ভ (Sariska Tiger Reserve)
একসময় আলওয়ারের রাজারা শিকার করতেন এই বনে। ১৯৫৫ সালে এটি ঘোষণা করা হয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র (Wildlife Sanctuary) হিসেবে। পরে ১৯৭৮ সালে ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Project Tiger Reserve) অন্তর্ভুক্ত হয়। আজ এখানে বাস বাঘ, চিতা, হরিণ, ময়ূর-সহ অসংখ্য বন্যপ্রাণীর বাস। প্রকৃতি ও প্রাণী সংরক্ষণের এক অনন্য উদাহরণ সারিস্কা।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/29/alwar-travel-guide-5-2025-10-29-18-30-54.jpg)
বালা কিলা (Bala Quila / Alwar Fort)
হাসান খান মেওয়াতি ১৫৫১ সালে নির্মাণ করেছিলেন এই দুর্গটি। পরে মুঘল, মারাঠা ও রাজপুতদের অধীনে আসে। পাহাড়ের ওপর অবস্থিত এই বিশাল দুর্গ থেকে পুরো আলওয়ার শহরকে দেখা যায় এক নজরে। ইতিহাসপ্রেমী ও ফটোগ্রাফারদের কাছে এটি এক স্বর্গ।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/29/alwar-travel-guide-6-2025-10-29-18-31-27.jpg)
মুসি মহারানী কি ছত্রী (Moosi Maharani Ki Chhatri)
১৮১৫ সালে মহারাজা বিনয় সিং তাঁর পিতা বখতাবর সিং ও রানি মুসি-এর স্মৃতিতে এই ছত্রি নির্মাণ করেন। বলা হয়, রানি মুসী সতী হয়ে স্বামীর চিতায় আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। এই স্থাপত্যে লাল বেলেপাথর ও সাদা মার্বেলের মিশ্রণ রাজপুত ও মুঘল স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন রয়েছে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/29/alwar-travel-guide-7-2025-10-29-18-32-08.jpg)
আলওয়ারে ঘোরার আরও কিছু জায়গা
সিটি প্যালেস মিউজিয়াম (City Palace Museum): রাজাদের ব্যবহৃত অস্ত্র ও শিল্পকর্মে ভরা মিউজিয়াম রয়েছে এখানে। বিজয় মন্দির প্যালেস (Vijay Mandir Palace): মহারাজা জয় সিং-এর রোম্যান্টিক প্রাসাদ ছাড়াও এখানে রয়েছে গরভাজি জলপ্রপাত (Garbhaji Falls)। যা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এক নৈসর্গিক জলপ্রপাত।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/29/alwar-travel-guide-8-2025-10-29-18-33-15.jpg)
কোথায় থাকবেন
আলওয়ারে বিভিন্ন বাজেটের হেরিটেজ রিসোর্ট, হোটেল ও হোমস্টে আছে। Siliserh Lake Palace বা Neemrana Fort থেকে শুরু করে সাশ্রয়ী হোটেল—সবই পাওয়া যায় সহজে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/29/alwar-travel-guide-9-2025-10-29-18-34-03.jpg)
কীভাবে যাবেন
দিল্লি থেকে: ট্রেন বা NH48 ধরে গাড়িতে প্রায় ৩ ঘণ্টার পথ, জয়পুর থেকে: মাত্র ১৫০ কিমি, গাড়িতে ৩ ঘণ্টা লাগে। অক্টোবর থেকে মার্চ—এই সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে, লেক ও দুর্গ ঘুরতে এই সময়টায় বেশ ভালো লাগে। গ্রীষ্মে সূর্যরোধক ব্যবহার করুন। স্থানীয় রাজস্থানি খাবার যেমন ডালবাটি চুরমা (Dal Baati Churma) ট্রাই করতে ভুলবেন না। বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ভ্রমণের সময় নীরবতা বজায় রাখুন।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us