scorecardresearch

আমার পুজো: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

“কতবার হয়েছে বাবা আটকে গেছেন, আমাদের আলাদা গাড়ি করে আগে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভীষণ উত্তেজিত হয়ে দেখেছি মা খুব সুন্দর করে সেজে বেরোলেন, ফেরার সময়ে খোঁপা খুলে একসা।”

আমার পুজো: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

পুজো মানেই ছোট থেকে বড় সকলের আনন্দে নেচে ওঠার দিন। তিনি সাধারণ মানুষ হোন বা তারকা। ঢাকে কাঠি পড়তেই মনটা বাইরে চলে যায় সবার। কাজে মন বসে না। “এখন তো পুজোর সময়ে বাংলা ছবি মুক্তির হিড়িক পড়ে যায়, তখন তেমনটা ছিল না। হিড়িক পড়ত, তবে তারকাকে সামনে থেকে দেখার। আর তিনি যদি বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় হন তাহলে…” আপনার পুজোর একাল সেকাল কেমন ছিল? প্রশ্নটা সামনে আসতেই একনাগাড়ে বেরিয়ে এল কতগুলো কথা। বললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

পুজো মানেই তাঁর কাছে ডায়েট ভুলে অষ্টমীর ভোগ, মামা বাড়ির পুজোর নস্ট্যালজিয়া। একে একে বলতে লাগলেন, “আমি তো এখনও মায়ের ভোগ খাই। সারা বছর ডায়েট করব, কিন্তু এটা বাদ দিতে পারব না। ছোটবেলায় মামাবাড়িতে পুজো হত, সেখানে যেতাম। সে এক আলাদা মজা। বাড়ির  ছোটরা নারায়ণ ভোজন করাত। প্যান্ডেল হপিং তো চলতই।”

আরও পড়ুন: আমার পুজো: মেহতাব হোসেন

কিন্তু বাবা যে বিশ্বজিৎ। তারকার ছেলে হওয়ার বিড়ম্বনা সহ্য করতে হত না? “সে হত না আবার। তখন তো ক্রেজ ছিল প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে সেলিব্রিটি যাওয়ার। এখন তো সেটা আমিও করি। তবে বাবা কলকাতায় থাকলে সক্কলকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরোবেনই। ইচ্ছে না থাকলেও যেতে হত, হাঁক আসত বুম্বা, মাকুও (প্রসেনজিৎ, পল্লবী) যাবে। কতবার হয়েছে বাবা আটকে গেছেন (তখন এসব বডিগার্ডের কনসেপ্ট কই?), আমাদের আলাদা গাড়ি করে আগে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভীষণ উত্তেজিত হয়ে দেখেছি মা খুব সুন্দর করে সেজে বেরোলেন, ফেরার সময়ে খোঁপা খুলে একসা।”

আর প্রেম? “সে তো মণ্ডপেই শুরু, মণ্ডপেই শেষ। ঠিক প্রেম বলা যাবে না এটাকে, বুঝলে। ওই ভাল লাগা, একটু চোখে চোখে কথা হলে যেমনটা হয়। পুজোর পর কিন্তু সেসবের খোঁজ মিলত না আর। তবে এখনকার পুজো ছবির প্রচার করতেই চলে যায়।” প্রসঙ্গত, এবার পুজোয় মুক্তি পেয়েছে প্রসেনজিৎ অভিনীত ‘কিশোর কুমার জুনিয়র’।

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Lifestyle news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Amar pujo durga puja 2018 prosenjit chatterjee