অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি - এই শব্দটি অনেকের কাছেই অজানা। আবার কেউ কেউ জানেন বটে। বিশেষ করে যারা কোভিড ১৯ এর থেকে সেইভাবে আক্রান্ত নয়, তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে উপকার পেয়েছেন অনেকেই। চিকিৎসক সলিল বেন্দ্রে বলছেন অতিরিক্ত অল্প সময়ে এই পদ্ধতি সহজেই মানুষের নজরে এসেছে। এবং একে ব্যবহার করেই রেহাই পাওয়া যাচ্ছে রোগ থেকে।
তবে বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, এই থেরাপি নিয়েও অনেক ভুল তথ্য বাজারে ছড়িয়েছে। যেগুলি একেবারেই মিথ্যে বিষয়, সেই সম্পর্কে সত্যি জানা প্রয়োজন!
থেরাপি সম্পর্কে আগে জেনে নেওয়া যাক! এটি আসলে কী?
এই থেরাপি আসলে দুটি মনোক্লনাল অ্যান্টিবডি দ্বারা পরিচালিত হয়। ক্যাসিরিভিমাব এবং ইমিডেমিভাব এই দুটির সংমিশ্রণে মানব ইমিউনগ্লোবিন এবং করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। এই দুটির প্রভাবে কোভিড ১৯ স্পাইক প্রোটিনের দিকে পরিচালিত হয়। অ্যান্টিবডি ককটেল ভাইরাসের সংযুক্তিকে ব্লক করে, এবং মানব কোষকে এর থেকে মুক্ত রাখে যাতে ভাইরাস প্রবেশ না করতে পারে। হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা কমায়। এমনকি কোভিড রোগীদের শরীরকে দ্রুত সুরক্ষিত রাখে।
যে ভুয়া তথ্যগুলি এই সম্পর্কে রটানো হচ্ছে, সেগুলিকে চিকিৎসকরা মেটানোর চেষ্টা করেছেন! জেনে নেওয়া যাক!
ধারণা : যে কেউ এই থেরাপি গ্রহণ করতে পারেন?
সত্য : একেবারেই নয়! সকলেই এই থেরাপি গ্রহণ করতে পারেন না। মাথায় রাখতে হবে, এই থেরাপির আওতায় আসতে গেলে ব্যক্তিকে বেশি বয়েসের হতে হবে এবং মাঝারি থেকে মৃদু উপসর্গ যুক্ত হতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ১২ বছরের বেশি! ওজন হবে - ৪০ কেজি এবং যাদের মধ্যে কোভিডের বেশি তথা ক্ষতিকারক লক্ষণ থাকতে হবে। বিশেষ করে হৃদরোগী, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস, কোষ অন্তর্ভুক্তির রোগ, ডায়াবেটিস এবং স্থূলতা এই ধরনের রোগের ব্যক্তিরা বেশি গ্রহণ করতে পারেন এই চিকিৎসা।
ধারণা : যাদের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় তারা পারে এই থেরাপি গ্রহণ করতে!
সত্য : একেবারেই নয়! যাদের অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে, তাদের ক্ষেত্রে ক্যাসিরিভিমাব এবং ইমিডেমিভাব কাজ করে না। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা আবশ্যক। যারা স্বল্প উপসর্গের ব্যক্তি তাদের ক্ষেত্রে এটি কাজ করবে এবং চিকিৎসক ধার্য করবে সেই মানুষ এটি গ্রহণ করতে পারে নাকি নয়।
ধারণা : যে কোনও চিকিৎসক এই থেরাপি দিতে পারেন?
সত্য : এমন একজন চিকিৎসক এই কাজ করতে পারেন, যিনি সম্পূর্ণ বিষয়টি ভাল করে জানেন অথবা বোঝেন। সংক্রমণের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এটি opd ভিত্তিতে ৭ দিনের মধ্যে ত্বকের নিচে প্রয়োগ করা হয়। রোগীদের ক্ষেত্রে এটি একটি আশির্বাদ!