বহু প্রতীক্ষার পরে কোভিড ভ্যাকসিনের দেখা মিলেছে। মহামারির গ্রাস থেকে বাঁচতে যেন মরুভূমিতে জলের মতোই এর পরিস্থিতি। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে যেমন কিছু বিধি নিষেধ রয়েছে তেমনই রয়েছে কিছু মিথ। কী রকম? অনেকের মুখেই শোনা যাচ্ছিল, এই ভ্যাকসিন নাকি ঋতুচক্রে নানান সমস্যার সৃষ্টি করছে। কারওর তারিখ পরিবর্তন তো কারওর আবার মাসিক বিরতি।
Advertisment
কিন্তু এই প্রসঙ্গে কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রজনন বিশেষজ্ঞ ভিক্টোরিয়া মেল জানান, মাসিক ঋতুস্রাবের সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত নয়।
গবেষণার মাধ্যমেই জানা গেছে, প্রায় ত্রিশ হাজারের মতো মানুষ এই বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন। যার ফলেই এই বিষয়টি নিয়ে বেশ নানান ধরনের জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে। তবে বেশিরভাগ মেয়েদের সূত্রেই জানা গিয়েছে, পরের মাসে সঠিক সময়েই এই চক্র পুনরায় ফিরে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শারীরিক এই প্রক্রিয়াকে ভ্যাকসিন প্রভাবিত করতে পারে বলে এমন কোনও প্রমাণ এখনও নেই। এটি সম্পূর্ণই শরীরের ধাঁচ বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
ভিক্টোরিয়া জানান, মাসিক এই চক্রের সময় পরিবর্তনের সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনওরকম যোগাযোগ নেই। প্রতিষেধক কখনওই এই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে না। এই প্রক্রিয়ার বিস্তার এবং প্রভাব দুটিই ভিন্ন। ঋতুস্রাবের সমস্যা অন্যান্য নানান কারণে হতে পারে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও অসুবিধে হলে ভ্যাকসিনকে কোনওভাবেই দায়ী করা উচিত নয়। তার চেয়ে বরং চিকিৎসা শাস্ত্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন তাতে।
একটি ভ্যাকসিন যখন তৈরি করা হয় তখন নানানরকম পরীক্ষা করার পরেই তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরুষ-নারী বিভেদে কোনওরকম আলাদা কিছু তৈরি করা হয় না। এটি সম্পূর্ণ ভাবে সুরক্ষিত এমনকি ঋতুস্রাব চলাকালীন ভ্যাকসিন গ্রহণ করা নিরাপদ। সুতরাং, যেসব মেয়েদের এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে সেটি কেবলমাত্র ইমিউনিটি সিস্টেমের ফলস্বরূপ। মাসিক ঋতুস্রাব শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা হলেই ভয় পাবেন না বরং চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন