বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শরীর ভাল রাখাটাই সবথেকে বেশি দরকারি এবং প্রয়োজনীয় বটে। এখন হালকা হাঁচি কাশি থেকেই কত কিছুর সমস্যা শুরু হয়ে যায়, সেই বিষয়ে যেন অন্ত নেই! শরীরকে ভাল রাখতে চিকিৎসকরা বারবার নানা ধরনের নিয়ম মেনে চলার কথা বলেছেন, কিন্তু এত কিছু করার পরেও আপনার শরীর সুস্থ এবং সবল আছে কিনা - কীভাবে বুঝবেন।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা নিতিকা কোহলি সেই প্রসঙ্গেই জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, চারপাশের জগতে এটা করতে হবে ওটা করতে হবে এই ভাবতে ভাবতে অশোক জিনিসেই গাফিলতি পরে যায়। আসলেই যে বিষয়গুলিকে আমাদের নজরে রাখা উচিত, সেটি সম্ভব হয়না। বরং দেখা যায়, আনুসঙ্গিক ক্ষেত্রে নজর বেশি সকলের।
শুধুই ডাক্তারের কাছে দৌড়লেই শরীর সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং মাথায় রাখতে হবে, নিজেরা বাড়িতে থেকেও কিন্তু শরীরের ভারসাম্য বোঝা সম্ভব এবং তার জন্য বেশ কিছু আঙ্গিক দিকে খেয়াল রাখতে হবে! যেমন?
প্রথম, জ্বিভের দিকে নজর দিন। যদি আপনার জ্বিভ গোলাপী অথবা হালকা লাল না হয়ে হলুদ কিংবা সাদা হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার মেটাবোলিজম ঘাটতি দেখা গিয়েছে। এবং এর প্রভাব পড়বে হজমের সমস্যায় কিংবা পাচনতন্ত্রে।
দ্বিতীয়, চোখের সাদা অংশ এবং মনির দিকে নজর দিন। যদি এর রং বদলে হলুদ কিংবা লাল হয় অথবা অসম্ভব চোখ চুলকানো অনুভূত হয়, তবে মনে রাখবেন নিজের লিভারের যত্ন নেওয়া দরকার। এটি আসলে পিত্ত দশার গাফিলতির কারণে হয়।
তৃতীয়, মূত্রের রং যদি অত্যন্ত হলুদ হয় কিংবা এর থেকে বাজে গন্ধ আসতে শুরু করে তবে সমস্যা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এটি শরীরে অত্যধিক টক্সিন এবং ইনফেকশনের লক্ষণ।
চতুর্থ, নখের রং হালকা গোলাপি হলে কোনও সমস্যা নেই। তবে এটি যদি শুকিয়ে সাদা হয়ে যায় কিংবা হালকা হালকা পাতলা চামড়ার মত উঠতে থাকে, তাহলে কিন্তু খুব সমস্যা। হজমের এবং ম্যাল নিউট্রিশন ককে যাওয়ার প্রথম ধাপ এটি। তাই খেয়াল রাখুন।
শেষটি হল, কোষ্ঠকাঠিন্য যদি মারাত্মক কষ্ট দেয় অর্থাৎ সপ্তাহে ৩/৪ দিন এই সমস্যায় ভুগতে থাকেন অবশ্যই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। অতিরিক্ত বেশি খাওয়ার ফলে কিংবা ফ্যাট বেশি মাত্রায় খেলে এই সমস্যা হতে পারে, পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শরীরের দিকে নজর দিন, এই ধরনের ইঙ্গিত গুলি পেলেই সতর্ক হন.......