Pcod কিংবা pcos এই সমস্যা নিয়ে অনেকেই জলঘোলা করেন। ধারণা এমন দিয়ে থাকেন যেন এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই কিংবা পরবর্তীতে সন্তান এক্ষেত্রে বিরাট কোনও সমস্যা দেখা যায়। তবে এই তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল তার কারণ, বেশিরভাগ সময় দেখা যায় দুটির কারণেই স্বল্প ধরনের কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে বিশেষ করে গর্ভাবস্থার পরে এই সমস্যা চলেও যায়।
Advertisment
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ নিতিকা কোহলি ধারণা দিচ্ছেন এই প্রসঙ্গে। বলছেন প্রতিটি রোগের ক্ষেত্রেই একটি কিংবা অনেক লক্ষণ থাকে এবং সেটিকে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। তেমনই এই দুটিও! তার বক্তব্য কম করে অর্ধেক মহিলারাই বুঝতে পারেন না যে তারা এই হরমোনাল সমস্যায় আক্রান্ত। যত তাড়াতাড়ি এর ট্রিটমেন্ট হয় তত তাড়াতাড়ি এটির থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব!
চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় একটি শব্দ রয়েছে যেটিকে রতের্ডাম ক্রাইটারিয়া বলা হয় সেটিই কিন্তু একমাত্র বোঝার উপায় যে আদৌ কেউ এই pcod অথবা pcos দ্বারা ভুগছেন কিনা। কারণ এই রিদমের মাধ্যমেই সেটি শারীরিক অবস্থাকে নির্দেশ করে, এবং সেই থেকেও শারীরিক ইঙ্গিত নয়া রূপ নিতে পারে। সেই ইঙ্গিত গুলি কী কী?
প্রথম, ওভারিয়ান আল্ট্রা সাউন্ড শোনা খুব দরকার। কারণ এই আল্ট্রা সাউন্ড ওভারির ভেতরের অবস্থাকে নির্দেশ করে, অনেক সময় এটি আকারে বেড়ে যায়, দেখতে হবে সেই মাত্রা যেন ১০ মিলির আশে পাশে থাকে এবং অবশ্যই, ফলিকলস এর মাত্রা বেড়ে গিয়ে ১২ নম্বরের বেশি যেন না হয়।
প্রতিমাসের মেনস্ট্রুয়েশন সময় মত হচ্ছে কিনা সেটি দেখতে হবে। দেরি হলেও সেটি কতটা দেরি হচ্ছে কিংবা সারামাসে অনেকসময় দুইবার হচ্ছে কিনা সেইদিকে নজর রাখতে হবে। অনেক সময় লাগাতার অনেকদিন এটি হতেই পারে তাই সবদিকেই নজর দিন।
অনেকসময় শরীরে পুরুষ জাতীয় হরমোনের মাত্রা শরীরে বেড়ে যায়, অর্থাৎ অ্যান্ডজেনস এটি বেড়ে গেলে নারীদেহে গোঁফ, কিংবা অপ্রত্যাশিত জায়গায় পশমের মত সমস্যা দেখা যায়। তাই এই বিষয়টিকে মাথায় রাখতে হবে। অবশ্যই মনে রাখবেন যে কোনও একটি নয় বরং দুটির লক্ষণ মিললে তবেই সেটি pcod কিংবা pcos....
এগুলি ছাড়াও হঠাৎ করে মাথা ঘোরানো, কিংবা রাত্রিবেলা গলা শুকিয়ে যাওয়া তথা দুর্বল অনুভব করা এগুলি অবশ্যই দেখা দিতে পারে তাই স্মরণে রাখবেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।