সঠিকভাবে কোনও উপাদান শরীরে যদি না পৌঁছায় তাহলে সেই প্রভাব সবথেকে আগে পরে শরীরের পে। বিশেষ করে অতিরিক্ত ব্লাড প্রেসার কিংবা সুগার অথবা রক্তাল্পতা জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে থাকে। একটু খেয়াল করলে দেখা যায়, সবকিছুর ফলাফল কিন্তু একেবারেই এক নয়। ভিন্ন সমস্যায় ভিন্ন রোগের সূত্রপাত এবং তার চিহ্ন দেখা যায় মানবদেহে। ভিটামিন, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম এগুলির মত আয়রনের প্রভাবও কিন্তু সঠিক মাত্রায় থাকা প্রয়োজন! কেন?
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ গীতিকা গুপ্তা বলছেন, বেশিরভাগ সময় দেখা যায় মেয়েদের শরীরে আয়রনের অভাব অনেক বেশি, যেটি উচিত নয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের শরীরে এটির উপস্থিতি খুব দরকার। সঠিক মাত্রায় আয়রন না থাকলে কিন্তু বেশ সমস্যার, কেমন? যেমন বলা উচিত মেনস্ট্রুয়েশন থেকে অ্যানিমিয়া সবরকম সমস্যার সূত্রপাত হতে পারে এর থেকে। অনেক সময় দুরারোগ্য ব্যাধির লক্ষণ দেখা যেতে পারে। সুতরাং মাথায় রাখতে হবে, যে আয়রন সঠিক মাত্রায় রাখা খুব দরকারি।
কী ধরণের শারীরিক লক্ষণ দেখা যায় এটি কম থাকলে?
গীতিকা বলছেন, অনেক সময় চোখের রং বদলে যেতে শুরু করে হালকা গোলাপী কিংবা হলুদ রঙের হতে থেকে। সুতরাং শুধু যে জন্ডিস হলেই শারীরিক অংশ হলুদ হয় সেই বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
অনেক সময় আয়রনের ঘাটতি থাকার কারণে শরীরে শুকনো চামড়া, কিংবা চুলকানি অনুভূত হয়। অনেক সময় গা হাত পা সাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চুলের অবস্থা অত্যধিক খারাপ হয়ে যায়। বলা উচিত ডগা শুকিয়ে গিয়ে এটি ঝরে পড়তে পারে আবার অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, চুল একদম বেজান হয়ে পড়ে। এর উজ্জ্বলতা কমে যায়।
মনে রাখবেন নখ এবং তার রং কিন্তু অনেক শরীর খারাপের ইঙ্গিত। আয়রন কম থাকলে নখ সাদা হয়ে পড়ে এবং অনেকসময় পাতলা চামড়া ওঠার সম্ভাবনা থাকে, নজর রাখুন।
কোন ধরনের খাবার খেলে শরীরে আয়রনের ভাব ভাল থাকবে?
অল্প মাত্রায় রেড মিট, ডিম এবং মাংস, সামুদ্রিক মাছ বিশেষ করে চিংড়ি এবং স্কুইড তথা সবুজ শাক সবজি এগুলি খেলে শরীরের পক্ষে বেশ ভাল এবং আয়রনের প্রভাব বিস্তার করতে পারে।