শাস্ত্রমতে, সারাবছর সুখ-শান্তিতে বাঁচার জন্য কিছু নিয়ম পালন করা জরুরি। মহালয়ার দিনও তার ব্যতিক্রম নয়। এদিনের জন্যও কিছু নিয়ম পালন করার কথা বলেছেন জ্যোতিষ শাস্ত্রজ্ঞরা। কারণ, মহালয়ার দিন নিষেধ না-মেনে ওই কাজগুলো করলে জীবনে বড় বিপদ ঘনিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে তাঁরা সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
১) পিতৃপক্ষে কোনও শুভ অনুষ্ঠান হয় না। মহালয়া যেহুতু পিতৃপক্ষের শেষ দিন, তাই এই দিন কোনও শুভ অনুষ্ঠান যেমন পাকা দেখা, বিবাহ অথবা বাড়ি-গাড়ি ইত্যাদি না কেনাই ঠিক।
২) মহালয়ার দিনে তর্পণ করা হয়। অনেকে গঙ্গায় গিয়ে তর্পণ করেন। কিন্তু, তাই বলেন ভুলেও চুল-দাড়ি কাটবেন না।
৩) মহালয়ার দিন ধূমপান, মদ্যপান, কোনও নেশাজাতীয় বস্তুর ব্যবহার করা ঠিক নয়। মাটি খোঁড়াও উচিত নয় বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।
৪) মহালয়ার দিন আমিষ গ্রহণ করা উচিত নয়। পারলে, সপরিবারে এই বিশেষ দিনে নিরামিষ খাওয়া উচিত।
৫) এই দিন কাউকে ধার দেওয়া উচিত না। তবে, এই বিশেষ দিনে বাড়িতে কোনও ভিক্ষুক এলে, তাঁকে আবার খালি হাতে না-ফেরানোই ঠিক। মহালয়ার দিন গরিব-দুঃখীকে পোশাক অথবা খাবার দান করা অত্যন্ত শুভ বলেই মনে করা হয়।
৬) এদিন বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানো যেতে পারে। গাছ বসানো উচিত বাড়ির উত্তর বা উত্তর-পূর্ব কোণে।
৭) অনেকেরই ঠাকুরঘর এবং শোওয়ার ঘরে পিতৃপুরুষের ছবি থাকে। এমনটা থাকলে মহালয়ার দিনই তা সরিয়ে ফেলা উচিত।
৮) যে ঘরে পিতৃপুরুষের ছবি রাখবেন, তা রাখা উচিত ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণে।
৯) এছাড়াও ঘরে যদি জীবিত এবং মৃত ব্যক্তির ছবি পাশাপাশি থাকে, তা-ও সরিয়ে ফেলা উচিত মহালয়ার মধ্যেই।
আরও পড়ুন- এগিয়ে থাকুন, শুধু দুর্গাপুজোই নয়, জানুন আগামী ৪ বছর মহালয়া থেকে কালীপুজোর দিন-ও
পুরাণ অনুযায়ী, কোনও জীবিত ব্যক্তির প্রয়াত তিন পূর্বপুরুষ পিতৃলোকে বাস করেন। এই লোক স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি কোনও স্থানে রয়েছে। পিতৃলোকের অধিপতি হলেন মৃত্যুর দেবতা যমবাজ। তিনিই সদ্যমৃতের আত্মাকে পিতৃলোকে নিয়ে যান। আর, জীবিত ব্যক্তির মৃত চতুর্থ পূর্বপুরুষ থেকে বাকিরা পরমাত্মায় লীন হয়ে যান।