ছেলেমেয়েদের মানুষ করা একেবারেই সহজ কথা নয়। ওদের ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার পথে কিন্তু অনেক ভাবনা চিন্তা রয়েছে। এবং সেই দিকে কিন্তু বাবা মা হিসেবে নিজেকেই নজর দিতে হবে। নতুন করে শেখানো থেকে নতুন ভাবে পথ চলার বিষয়ে আপনি না থাকলে ওরা কিন্তু অসহায়। আর আপনার ছোটোখাটো ভুলগুলো ওদের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিজেকে একেবারেই সাবধানে পা ফেলতে হবে। তার সঙ্গে মানসিক ভাবেও গাট বেঁধে নিতে হবে বেশ কিছু বিষয়। নিজের ভুলগুলো অবশ্যই মনে রাখবেন এবং দ্বিতীয়বার এই ছকে আর এগোবেন না।
প্রথম, আপনার শিশুর প্রতি আপনি এক্সপ্রেসিভ হন অর্থাৎ ওদের প্রতি আপনার ভালবাসা, কেয়ারিং মনোভাব এগুলি ওদের সামনে প্রকাশ করুন। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি ওদের বলছেন ওদের বুঝতে পারার কথা নয় এবং সবথেকে বড় কথা ওরা চায় বাবা মায়ের থেকে আদর, অভিব্যাক্তি এগুলি আসুক যেই কারণেই ওরা এগুলি আশা করে। তাই আপনি কোনওভাবে নিজের শিশুর কাছে অধরা থাকবেন না।
দ্বিতীয়, যতই ওরা ছোট হোক, ওদের কিন্তু বেশ কিছু মতামত থাকতে পারে। তাই সবসময় ওদের জীবন নিজের হাতে চালানোর চেষ্টা করবেন না। ওদের কাছ থেকে শুনুন, তারপরেই নিজের মতামত দিন, বোঝানোর চেষ্টা করুন। তবে একেবারেই ওদের সরিয়ে দেবেন না।
তৃতীয়, বন্ধু পছন্দের স্বাধীনতা একটু হলেও দিন। একটি বাচ্চার মস্তিষ্ক আর আপনার এক নয়। ভাল খারাপ যাচাই শুধু নয়, মনের মিল হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই কারণেই দরকার ওদের খোলামেলা ভাবে মিশতে দেওয়া, মানুষ চেনার দরকার ওদেরও আছে। আপনি শুধুই পাশে থেকে গার্ড করে যাবেন।
চতুর্থ, সবসময় যেকোনও ক্ষেত্রে ওকে আটকে রাখবেন না। যত বড় হবে স্বাধীনচেতা মনোভাব আসবেই এবং এটি অন্যায় নয়। শুধু মনে রাখবেন ওদের ঠিক ভুল বিবেচনা করানোর বিষয় কিন্তু আপনার। তবে ওদের প্রাণখোলা আনন্দে বাঁধা দেবেন না।
বাবা এবং মা দুজনের উদ্দেশ্যে, ওদের সামনে একেবারেই অশান্তি, ঝামেলা এসব করবেন না। এতে ওদের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। নিজেদের ঝামেলা ওদের আড়ালে মেটান। নয়তো পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ওদের বেশ বদলে দেবে। এই ভুলটি একেবারেই করবেন না।
নিজের বাচ্চার জন্য এটুকু করাই যায়, তাই মাথায় রাখবেন এবং ভেবে পদক্ষেপ নেবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন