/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/01/aspirin-and-covid.jpg)
প্রতীকী ছবি।
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা রুখতে মানুষ কত কিই না করেছেন। এমনকি ভ্যাকসিন নিয়েও যেন শান্তি নেই। দুটি ডোজ সম্পূর্ণ করার পরবর্তীতেও থাকছে অঢেল ঝামেলা। একেবারেই সংক্রমণের বৃদ্ধি আটকানো কিন্তু সম্ভব হয়নি। বরং বলা যায়, দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পরেও মানুষ আরও বেশি করে সংক্রমিত হচ্ছেন। তৃতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন খুব কম সংখ্যক মানুষ। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণের পরেও মানুষ কেন এত সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন সেই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকরাও!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে এখনও রোগের কবল থেকে মুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়নি, তাদের কপালে এখনও চিন্তার ভাঁজ। বরং সাধারণ মানুষ নিজের মত করেই রোগের ভয়াবহতা কমিয়ে যে ধরনের আচরণ শুরু করেছেন তাতে ভয়ের অন্ত নেই। এর মধ্যেই করোনা ভাইরাসের ট্রিটমেন্ট হিসেবে অ্যাস্পিরিন দারুণ কার্যকরী - এই বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে অনেকেরই চোখ কপালে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই বার্তা দেখেই প্রচুর মানুষ কিন্তু অ্যাসপিরিন কিনে রাখতেও শুরু করেছিলেন! তবে সত্য ঘটনা আসলেই কী?
A message being forwarded on #WhatsApp claims that #COVID19 is a bacteria that can be cured with aspirin.#PIBFactCheck
▶️ This claim is #FAKE!
▶️ #COVID19 is a virus, not a bacteria
▶️ It can not be cured with anticoagulants like aspirin. pic.twitter.com/v1MCkh82AW— PIB Fact Check (@PIBFactCheck) January 24, 2022
সরকারের ফ্যাক্ট চেক এজেন্সি এবং PIB থেকে টুইটের মাধ্যমেই জানানো হয়েছে, যে এই তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল। বরং এটি একধরনের ক্ষতিকর বিষয়, কোনও কারণ ছাড়াই অত্যধিক মাত্রায় এটি খেতে শুরু করলে কিন্তু শারীরিক গোলযোগ সামাল দেওয়া খুব সাংঘাতিক ব্যাপার। যে বার্তাটি ক্রমশই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে সেটিকে ভুল বলেই জানানো হয়েছে। সেই বার্তায় লেখা ছিল, কোভিড আসলে কোনও ভাইরাস নয় সেটি ব্যাকটেরিয়া সুতরাং সেটি রক্তে বিষক্রিয়া করে মানুষকে অসুস্থ করছে এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে এমনই জানানো হয়। এমনকি সেই কারণেই চিকিৎসায় বদল আনা প্রয়োজন বলেই মনে করা হচ্ছে। তার সূত্র ধরেই অ্যাসপিরিন দ্বারা সম্ভব করোনা দমন বলেই জানিয়েছিলেন তারা।
ফ্যাক্ট চেক করেই জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ তথ্যটি ভুল বরং সেটিকে ভাইরাস বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে তথা সেটি মারাত্মক হাই মিউটেশন যুক্ত ভাইরাস তাই সতর্কতা অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। এবং একেবারেই অ্যাসপিরিন দিয়ে এর প্রতিকার সম্ভব নয়। তাই মানুষের ভুল বার্তায় মাথানত না করে সঠিক জেনেই চিকিৎসা করা প্রয়োজন। যতদূর জানা যাচ্ছে সিঙ্গাপুর থেকেই এই মেসেজের ছড়িয়ে পড়ার সূত্রপাত, এবং পরবর্তীতে সেই দেশের সরকার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ বিষয়টিকে ভুল বলেই গন্য করা হয়েছে, এতে তাদের কোনও সহমত নেই।
কী হতে পারে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাসপিরিন গ্রহণ করলে?
এটি শরীরের পক্ষে আসলেই ক্ষতিকর। কারণ? এটি অত্যধিক গ্রহণ করলে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া কিংবা কিডনি শিথিল হয়ে পড়লে রক্তক্ষরণ, অথবা মৃত্যুও হতে পারে।
শুধু তাই নয়, শ্বাসকষ্ট চোখে ঝাপসা দেখতে পাবেন। মস্তিষ্ক সঙ্গ দেবে না, অর্থাৎ আপনি অনেক কিছু ভুলে যাবেন। অত্যন্ত মাথা যন্ত্রণা হবে সঙ্গেই বেশ ঝামেলায় পড়বেন শরীরের দুর্বলতা নিয়ে। তাই ভেবে চিন্তে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এই ওষুধ খান।