Advertisment

হাঁপানি রাত্রে ভীষণ কষ্ট দেয়? সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, একটু হলেও কষ্ট কমবে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাত্রে বেশী কষ্ট দেয় হাঁপানির সমস্যা

হাঁপানির সমস্যায় এখন অনেকেই ভোগেন। ধুলোবালি এমনকি একরকম বংশগত এই রোগ অনেককেই ভীষণ কষ্ট দেয়। শ্বাস নিতে কষ্ট যেমন হয় অনেকেই বলেন ঠিক করে রাতে ঘুমাতে অবধি পারেন না। তার সঙ্গে কাশি, এবং বুকে ব্যথার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এর সঠিক উৎস সম্পর্কে সেভাবে কিছু না জানা গেলেও বিভিন্ন রকম ধারণা রয়েছে।

Advertisment

চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী-

• অতিরিক্ত সাইনাস থেকে হাঁপানির সূত্রপাত হতে পারে।

• এপিনেফ্রিন হরমোনের নিম্ন মাত্রা, যা শ্বাসনালিকে শিথিল করে এর থেকেও হতে পারে।

• শারীরিক অন্যান্য অ্যালার্জি থেকে এই রোগের প্রারম্ভ সম্ভব।

• ধুলো বালির সংস্পর্শে এলে অনেক সময় এই ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

• অনেকসময় এসি কিংবা কুলারের হাওয়া দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করার পরেও হতে পারে হাঁপানি।

যেদিকে আদতে নজর দেওয়া প্রয়োজন, তার মধ্যে অবশ্যই ধুলোবালি এড়িয়ে চলা। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। সবসময় নাসাল ড্রপ এবং সামগ্রী যেমন ইনহেলার কিংবা প্রয়োজনীয় ওষুধ, পেইন রিলিফ বাম এগুলি সঙ্গে রাখতে হবে। আমরা যেহেতু মানুষ, দিনের মধ্যে অনেকখানি সময় বাড়িতেই কাটে তাই নিজেকে কিন্তু বেশ পরিষ্কার রাখতে হবে সঙ্গে সবকিছুর যত্ন নিতে হবে। অনেকের বাড়াবাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাঁরা বাড়িতে নেবুলাইজারের বন্দোবস্ত রাখুন। তবে সহজেই প্রাথমিক ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

publive-image
নেবুলাইজার

প্রথমেই, নিজের ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করুন। ধুলো বালি জমতে দেবেন না একেবারেই। পার্টিকুলেট এয়ার ফিল্টার-সহ একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করুন। ডিস-ইনফেকশন দিয়ে ঘর জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। বাড়িতে মশার ধুপ জ্বালাবেন না।

দ্বিতীয়, ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু রাখুন দেহের তুলনায়। মাথা উঁচু থাকলে শ্বাস নিতে সুবিধা হয়। পাশ ফিরে শুতে গেলে খেয়াল রাখবেন যেন নাক কোনওভাবেই আড়াল না হয় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট না হয়।

তৃতীয়, সপ্তাহে একবার গরম জলে বিছানা সংলগ্ন সবকিছুই ধোয়ার ব্যবস্থা করুন। কমপক্ষে ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট হতেই হবে, তবেই জীবাণুর মৃত্যু সম্ভব।

চতুর্থ, বাড়িতে পোষ্য থাকলে তাদেরকে একসঙ্গে নিয়ে ঘুমাবেন না। ওদের লোম আপনার পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই ওদের থেকে দূরেই থাকুন আর কাছে গেলেও ডবল মাস্ক ব্যবহার করুন।

পঞ্চম, ধূমপান এক্কেবারে বন্ধ করুন। দিনে একবার তামাক সেবনও আপনার জীবনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

ষষ্ঠ, ঠান্ডা লাগাবেন না। শীতের শুরুতে এমনকি বর্ষার শুরুতে নিজেকে সুস্থ রাখুন। প্রয়োজনে ইমিউনিটি বাড়াতে কাচা হলুদ খান। এসি থেকে দূরে থাকুন। বৃষ্টি ভেজা থেকে এড়িয়ে চলুন।

স্বাভাবিক নিয়ম গুলি মেনে চললেই, কষ্ট আপনার একটু হলেও কমবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

health precaution symptoms Asthma
Advertisment