হাঁপানি, শরীরে এই রোগ থাকলে কিন্তু ছোট বয়স থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের একটি সমস্যা। শ্বাসনালী স্ফীত হতে পারে, সরুও হতে পারে আবার ফুলেও যেতে পারে। এর থেকেই অতিরিক্ত শ্লেষ্মা সৃষ্টি হয় এবং শ্বাস নেওয়ার মত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য কিছু সমস্যা যেমন বুকে ব্যথা, কাশি এগুলোও এর লক্ষণ। প্রতি বছর মে মাসকে হাঁপানি সচেতন মাস হিসেবে উদযাপন করা হয়।
সাধারণত এই রোগের ক্ষেত্রে সবসময় ইনহেলার অথবা দম নেওয়ার ওষুধ সঙ্গে রাখা হয়। এছাড়াও চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন ধোঁয়া ধুলো, চড়া সুগন্ধি এড়ানোর। মাস্ক পড়ার কথাও তারা বলে থাকেন। তেমনই যোগাসন কিন্তু এই রোগে বেজায় ভাল। হাঁপানি থেকে যদি রেহাই পেতে চান তাহলে, এই যোগাসন গুলি অভ্যাস করতেই হবে।
ওয়েলনেস কোচ এবং যোগ প্রশিক্ষক দীপিকা চৌহান এই তিনটি আসনের উল্লেখ করেছেন, দেখে নিন কিভাবে অভ্যাস করবেন :-
ভূজঙ্গাসন : এটিকে কোবরা পোজ বলা হয়ে থাকে।
- তলপেটের ওপর ভর করে শুয়ে পড়ুন। মাথা যেন মাটির সঙ্গে লেগে থাকে।
- পা দুটিকে পেছনের দিকে প্রসারিত করুন, পায়ের পাতা একসঙ্গে করুন।
- হাত সামনের দিকে প্রসারিত করুন। পুনরায় পিছনে টেনে নিয়ে আসুন।
- হাতের ওপর ভর দিন, কাঁধ সোজা রাখুন। ধীরে ধীরে বডি ওপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন। মাথা ঘাড় এবং বুকের সমান্তরাল ভাব যেন থাকে।
- যতক্ষণ পারবেন এই অবস্থায় থাকার চেষ্টা করুন। শ্বাস নিন, শ্বাস ছাড়ুন।
- ফের মাথা এবং ঘাড় নামিয়ে নিন, আসতে ধীরে দেহকে শিথিল করুন।
ধনুরাসন : একে আয়ুর্বেদের ভাষায় বো পোজ বলা হয়ে থাকে।
- তলপেটের ওপর ভর করে শুয়ে পড়ুন, মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে রাখবেন। পা পেছনে যেন প্রসারিত থাকে।
- হাঁটু পেছন দিক থেকে মুড়ে নিন। হাত দিয়ে সেটিকে একজোট করুন। পায়ের পাতার ঠিক ওপরের অংশটিকে হাত দিয়ে আটকে নিন।
- জোরে শ্বাস নিন, দেহকে সামনের দিক থেকে তোলার চেষ্টা করুন। শরীরের ভর থাকবে তলপেটের ওপর।
- এক মিনিট পর্যন্ত এই পোজ দিয়ে থাকার চেষ্টা করুন। ফের হাত ছেড়ে দিন। শরীর শিথিল করুন।
সেতু বন্ধাসন : ব্রিজ আসনও একে বলা হয়ে থাকে।
- পিঠের দিকে ভর করে শুয়ে পড়ুন। হাত পাশে রাখুন। হাতের পাতা যেন মাটির দিকে থাকে।
- হাঁটু ভাঁজ করুন। দুই পা সমান রাখুন। হাত দিয়ে পায়ের পাতার ওপরের অংশ জুড়ে নিন।
- পিঠের ওপর ভর করে নিজের শরীরকে ওপরের দিকে তুলে ধরার চেষ্টা করুন।
- ১০-১৫ গুনে ছেড়ে দিন, ফের শরীর নিচের দিকে নামিয়ে নিন।
এই আসন গুলি অভ্যাস করলে, স্পাইনাল এবং পিঠে ব্যথা দূর হয়। যেহেতু বুকের ওপর ভর করে এই ব্যায়াম হয় তাই শ্বাসযন্ত্রের অনেক সমস্যা দুর হয়। কোমর এবং পিঠ সংক্রান্ত ব্যাধি, ব্যথা অনেকটা কমে। লাংসের সঙ্গে সঙ্গেই থাইরয়েড এবং তলপেটের সমস্যা কমে।