গলাব্যথা বা জ্বর কিছুই নেই। হাতেপায়ে ব্যাথাও অনুভূত হচ্ছে না। শ্বাসকষ্টও নেই৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও রোগী করোনা পজিটিভ। দেশজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে এই ধরনের উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, উপসর্গহীন বা অত্যন্ত কম উপসর্গযুক্ত এই কোভিড-১৯ পজিটিভদের বাড়িতে হোম আইসোলেশনে রেখেই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই কর্নাটক রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, উপসর্গ না থাকা রোগীদের সঙ্গে থাকতে হবে সার্বক্ষণিক অ্যাটেন্ডেন্ট। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে হাসপাতালের। এই রাজ্যে যাঁরা উপসর্গহীন, কিন্তু করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আছেন, তাঁদের কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের? আসুন, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
নুন খাওয়া একদম কমিয়ে ফেলতে হবে। প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম থাকায় নুন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। হৃদরোগের সমস্যা থাকলে তা মারাত্মক হতে পারে। এই সময় রক্তে অক্সিজেনের স্যাচুরেশন লেভেল কমতে থাকে৷ ফলে বেশি নুন নৈব নৈব চ।
মাস্ক পরলেই ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে চশমার কাচ, কী করবেন?
যথাসম্ভব কমিয়ে ফেলুন চিনি খাওয়ার পরিমাণ। অতিরিক্ত চিনি ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। চিনির বদলে মরশুমি ফল খাওয়া যেতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বাজারি প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট বেশি খাবেন না। অনেকেই বার বার করে চা খাচ্ছেন। কিন্তু অতিরিক্ত চা এড়িয়ে চলুন, প্রয়েজনে গ্রিন টি খান।
বাসি বা ঠান্ডা খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। সব সময় খাবার গরম করে খেতে হবে। ফ্রিজের খাবার এড়িয়ে চলতে পারলল ভাল।
আদা, রসুন, হলুদ বেশি করে খান। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সকালে কাঁচা হলুদ খেতে পারলে খুবই ভাল। দুধ এবং দই নিয়মিত খান। পাতিলেবু, পাকা পেঁপে, আমন্ড বাদাম, আনারস যত বেশি পারবেন খান।