মাঝেমধ্যে পেতে একটি রেহাই দেওয়া উচিত। অনেকসময় বাড়ির বড়দের সঙ্গে বেশ কিছু চিকিৎসকরাও এই উপদেশ দিয়ে থাকেন। অন্তত কম করে দিনের একবেলা যদি মানুষ না খেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু যথেষ্ট ভাল। উপবাসের কারণে শরীরে গ্যাস অম্বলের মত সমস্যা কমে যায়। তবে এই উপবাস কিন্তু শরীরের অটো ইমিউনিটি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব রাখে! কীভাবে?
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ অনুপমা বলছেন বিশ্বের বহু মানুষ কিন্তু এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। খেয়াল করলে দেখা যায়, রোগ থেকে সেরে ওঠার মুহূর্তে কিংবা পরবর্তীতে এই জাতীয় সমস্যা বেশি কাজ করে। অর্থাৎ, সেইসময় অটো ইমিউনিটি বেশি কাজ করে। শরীর ভাইরাসের সংস্পর্শে এলেই ইমিউনিটি নিজের কাজ করতে শুরু করে এবং সেই সময়ই চিকিৎসকরা সামান্য মাত্রায় হলেও এই ধরনের ফাস্টিং কিংবা কিছু সময় না খেয়ে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
ফাস্টিংয়ের সঙ্গে অটো ইমিউনিটি কীভাবে সম্পর্কিত?
গবেষনা বলছে, ফাস্টিং ক্লিনিক্যালি প্রমাণিত শুধু এমনটাই নয় বরং অটো ইমিউনিটি থেকে যে ধরনের রোগ কিংবা সমস্যার সূত্রপাত হয় সেটিকেও কমাতে পারে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস তার মধ্যে অন্যতম। মাল্টিপেল স্ক্লেরোসিস জাতীয় সমস্যা দেখা যায়। বেশ কিছু অটো ইমিউন সিস্টেমের কারণে, শারীরিক মিয়েলিন ধ্বংস হয়। সুতরাং অল্প স্বল্প না খেয়ে থাকলে একেবারেই ক্ষতি হয়না।
কীভাবে শরীরের প্রয়োজনে এটি কাজ করে?
ফাষ্টিং শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এটি শরীরের ইমিউনিটি কে কিছু সময়ের জন্য স্থগিত রাখে। যার ফলে, শরীরের নানা অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। এছাড়াও, দেখা যায় বেশিরভাগ সময় শরীরের ইমিউনিটি নির্দিষ্ট ছন্দে কাজ করতে থাকলে ক্রনিক সমস্যা দূর হয়। তারসঙ্গে শরীরের প্রদাহ এবং তাপপ্রবাহ সঠিক মাত্রায় থাকে তাই পুনরায় রোগের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না।
উপবাস হজম এবং পাচন সমস্যা কমায়। যত বেশি এই সমস্যা কমবে তত বেশি মানুষের শরীরে ইমিউনিটি সঠিক ভাবে কাজ করবে। পচনের সমস্যা যদি বেশি হয় তাহলে অটো ইমিউনিটি নিজে থেকেই কাজ করে।
এছাড়াও ডায়েটের এক বিরাট পরিবর্তন দরকার। খাবারের সঠিক মাত্রার প্রভাব কিন্তু খুব কাজ করে অটো ইমিউনিটির ক্ষেত্রে। সঠিক পরিমাণে ডিটক্স ওয়াটার এবং ফ্লুরিড জাতীয় খাবার খুব দরকার।