কিছু কিছু মানুষের দেহে অটো ইমিউনিটির ধাত প্রচন্ড মাত্রায় বেশি। অনেক সময় দেখা যায়, কোনও নির্দিষ্ট ধরনের রোগের দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হলেও পরবর্তীতে সেই ভাইরাস এবং ইমিউনিটি নিজে থেকেই সক্রিয় হতে থাকে। অটো ইমিউনিটির বিষয়টি কিন্তু শরীরের ক্ষেত্রে একেবারেই ভাল না।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ অনুপমা বলছেন, শরীরের ইমিউন সিস্টেমের বাড়বাড়ন্ত কিন্তু অটো ইমিউনিটির লক্ষণ। এবং এর থেকে আরও নতুন কিছু শারীরিক সমস্যা চাগার দিতে পারে। যথারীতি, বেশ কিছু কারণ রয়েছে এর পেছনে। তবে এক থেকে দুই, এই সমস্যায় যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হয়।
কোন ধরনের রোগ এই কারণে দেখা যায়?
অটো ইমিউনিটি থেকে যদি কোনও রোগ দেখা দেয় তবে পরবর্তীতে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আরও সম্ভাবনা থাকে। তবে যে সাধারণ রোগগুলো মানুষের দেহে দেখা যায় তার মধ্যে - আস্থমা, এগজিমা, আর্থ্রাইটিস এগুলোই। তবে এছাড়াও অ্যাসিডিক সমস্যায় ভোগেন মানুষ।
রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় দায়ী?
প্রথমেই যে বিষয়ে নজর রাখা দরকার সেটি হল জেনেটিক কিংবা বংশ পরম্পরা। এইভাবেই কিন্তু অটো ইমিউনিটি মানুষের শরীরের সবথেকে আগে এবং সক্রিয় ভাবে জায়গা করে নিতে পারে। এই সময় ইমিউন রেসপন্স সঠিকভাবে হয় না।
দ্বিতীয়, অত্যধিক ধূমপান। এটি সাংঘাতিক মাত্রায় গ্রহণ করলে খুব মুশকিল। ধূমপানের কারণেও কিন্তু যথেষ্ট মাত্রায়, শরীরে অটো ইমিউনিটির মাত্রা বাড়তে পারে।
তৃতীয়, বাতাসের দূষিত ধূলিকণা কিংবা টক্সিন শরীরের পক্ষে ভাল নয়। এগুলি শ্বাসকষ্টের সঙ্গে সঙ্গে চামড়ার সমস্যা সৃষ্টি করে - অনেকসময় দেখা যায় এগুলি অটো ইমিউনিটির লক্ষণ।
চতুর্থ, ওবেসিটি অথবা স্থূলতা। এটি শরীরের প্রদাহ মাত্রা কমিয়ে দেয়। একেবারেই চর্বির মাত্রা কমে না। ফলে এইসময় ভাইরাসের প্রভাব বেশি হতে পারে, সঙ্গেই শরীরে অসুস্থতার মাত্রা বাড়তেই পারে। প্রদাহ সঠিক মাত্রায় না হলে কিন্তু অটো ইমিউনিটি বাড়বেই।