ডায়াবেটিক হোক কিংবা হাই ব্লাড সুগার, অথবা হার্টের সমস্যা - শেষ পর্যন্ত কিডনি নিয়ে মানুষ মুশকিলে পড়বে না এটি কিন্তু হয় না। কিডনি ভীষণ ভাবে অন্য অন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত তার সঙ্গেই অন্য অঙ্গ দ্বারা প্রভাবিত বটে। অনেক রকম ট্রিটমেন্ট তো রয়েছেই তবে তার সঙ্গেই যে বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন সেটি হল, ডায়েট কিংবা খাবার। প্রসঙ্গে ধারণা দিচ্ছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদ লব নীত বাত্রা।
Advertisment
তিনি বলছেন, বিশ্বের কম করে ১০ শতাংশ মানুষ কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। এবং তাদের বেশিরভাগ ক্রনিক সমস্যার আওতায়। কিডনি রোগীদের ভাল করে নিজের খাবার সম্পর্কে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। একেবারেই ধূমপান মদ্যপান এড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে বেশি ঝাল কিংবা তেল মশলা যুক্ত খাবার শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। সব ধরনের খাবারের মধ্যে যেগুলি আপনাকে সুস্থতা প্রদান করতে পারে, তার মধ্যে
লাল ক্যাপসিকাম :- এতে পটাসিয়াম কম থাকে, তবে ফ্লেভার হিসেবে ভীষণ ভাল। এবং সেই কারণেই এটি কিডনির খাবার হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গেই ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ এর এক অদ্ভুত মিশ্রণ, ফলিক অ্যাসিড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ সহজেই বিপাকে সাহায্য করে।
আদা :- কিডনির সমস্যায় নুন খাওয়া খুব একটা ভাল নয়। তাই আদা সেই জায়গায় দারুণ কাজ করে, এটি হালকা লবণাক্ত সঙ্গেই বেশ ভাল ফ্লেভার দিতে পারে। ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৬ এর এক নিদারুণ উৎস, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে।
পেঁয়াজ :- পেঁয়াজ সোডিয়াম ফ্রি ডায়েট প্রদান করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, পেঁয়াজের ব্যাকটেরিয়াল গুণ শরীরে অনেক ধরনের ভাল নিউট্রিশন প্রদান করতে পারে। কিডনির জন্য বেশ ভাল।
আপেল :- আপেলের পটাসিয়াম এবং ফসফরাস লেভেল একেবারেই কম। তাই কিডনির রোগীদের পক্ষে খাওয়া খুব ভাল। কিডনির ডায়েট হিসেবে এটি বেশ ভাল কাজ করে।
ফুলকপি :- ভিটামিন সি এর ভাল উৎস, ফোলেট তথা ফাইবার সমৃদ্ধ। ইন্ডলস, গ্লুকোসিনোলেটস, এবং thyiocyanates যুক্ত, তাই এটি কিডনির রোগীদের পক্ষে বেশ কার্যকরী। কোষ প্রতিষেধক হিসেবেই কাজ করে।