শরীরের পক্ষে সবকিছুই সমান গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে হাই ব্লাড প্রেসারের কারণে যেমন অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে ঠিক তেমনই লো ব্লাড প্রেসারের কারণেও কিন্তু নানা সমস্যা হতে পারে। প্রেসার কমে যাওয়া কিংবা হ্রাস পাওয়া খুবই খারাপ। হাইপোটেনশনের কারণে মাথা ঘোরানো, ভারী ভাব এগুলি দেখতে পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় গলা শুকিয়ে যাওয়ার মত সমস্যাও দেখতে পাওয়া যায়। প্রসঙ্গে ধারণা দিচ্ছেন চিকিৎসক অন্বেষা মুখোপাধ্যায়।
Advertisment
কী কারণে হতে পারে লো ব্লাড প্রেসার?
সাধারণত, অ্যানিমিয়া, পুষ্টির অভাব, হরমোনাল পরিবর্তন, হার্টের সমস্যা এসব কারণেই হতে পারে লো ব্লাড প্রেসার। আবার অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রেও লো ব্লাড প্রেসার দেখা যায়। তবে চিকিৎসক জানাচ্ছেন প্রতিদিন ব্যায়াম এবং যোগা অভ্যাস করলেই কিন্তু অনেক রেহাই মেলে। এর কারণে শরীরের সর্বত্র রক্ত প্রবাহ সঠিক মাত্রায় হতে থাকে।
কোন ধরনের যোগা অথবা প্রাণায়াম অভ্যাস করা উচিত?
শির্সাষণ ( যতক্ষণ পারবেন ততক্ষণ পর্যন্ত অভ্যাস করুন ) বদ্ধাকনাসন ( ১০-২০ সেকেন্ড অভ্যাস করুন ৫ সেট ) সর্বাঙ্গসন ( ৫ সেকেন্ড ) পশ্চিমত্তানাসন ( ৫-১০ সেকেন্ড )
রইল কিছু টিপস :- হাইপোটেনশন কমাতে পঞ্চাকর্ম খুব ভাল কাজ দিতে পারে। অর্থাৎ বেশ কিছু অভ্যাস বহাল রাখতে হবে। যেমন : স্নেহাপনা - প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ঘি সেবন করা খুব ভাল, এতে দৈহিক ভাতা এবং পিত্ত দশা সুস্থ থাকে। নাস্যা এক দারুণ কার্যকরী বিষয়, প্রতিদিন এটি অভ্যাস করুন। প্রতিদিন আয়ুর্বেদিক তেল ব্যবহার করে শরীরে মলিশ করতে পারেন। এতে পেশী এবং রক্ত সঞ্চালন সবই ভাল থাকে। এছাড়াও, প্রতিদিন পুরনো সময়ের বার্লি খাওয়া খুব ভাল। ভাতের থেকে ব্রাউন রাইস খেতে পারেন। সবুজ ডালের কোনও খাবার প্রতিদিন খেতেই পারেন। প্রতিদিন ভাল করে জল এবং ফলের রস খেতেই হবে। স্বল্প মাত্রায় নুন খাওয়া অভ্যাস করুন। মদ্যপান এবং ধূমপান কমিয়ে দিন। প্রতিদিন অল্প করে শরীরচর্চা করা উচিত, এবং ভারী জিনিস বইবেন না। এক জায়গায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না, এবং শোয়া থেকে ওঠার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না।