চোখ মানুষের সর্ব অঙ্গের মধ্যে সবথেকে বেশি পছন্দের এবং নরম জায়গাও বটে। শব্দের ভাষায় চোখ নাকি কথা বলে, আর এর দিকে তাকালেই নাকি সব সত্যি থেকে মিথ্যে এক নিমেষেই ধরা পড়ে যায়। তবে সারাদিনে চোখের ব্যবহারিক প্রয়োগ কিন্তু লেগেই রয়েছে। একনাগাড়ে কম্পিউটার মোবাইল হোক কিংবা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কোনও কাজ করা, চোখ কিন্তু খোলা রাখতেই হচ্ছে।
Advertisment
তো, স্বাভাবিক বিষয় যার ব্যবহার এত বেশি তার যত্ন কেন সঠিক উপায়ে হবে না? আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা নিতীকা কোহলি বলেন, চোখের যত্ন নেওয়া কিন্তু একেবারেই আবশ্যিক। এমনিতেও বারবার চোখ ডলা থেকে মাঝে মাঝেই চুলকানো এবং তাতে মেকআপ তো রইলো। চোখের ওপর অত্যাচার কিন্তু কম হয় না! শুধু তাই নয়, বাইরের সূর্যের প্রাকৃতিক আলো এবং ভেতরের আর্টিফিসিয়াল আলোর প্রভাব কিন্তু খুবই আলাদা সেই কারণেই প্রয়োজন প্রপার কেয়ারের।
তাহলে উপায়? সমস্যা নেই, অল্প কিছু আয়ুর্বেদিক টিপস আর এই চিন্তা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই। মোট ছয়টি উপায়ের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, ঝট করে জেনে নিই!
প্রথম, ঘুম থেকে উঠেই মুখে জল নিয়ে চোখ বন্ধ করে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। কিছু সেকেন্ড পর ফেলে দিন। ৩/৪ বার রিপিট করুন।
দ্বিতীয়, ত্রিফলা দিয়ে ভেজানো জল কিন্তু চোখের পক্ষে বেশ ভাল। তাই এই জল দিয়েই চোখ মুছতে পারেন অথবা পরিষ্কার করতে পারেন।
তৃতীয়, শতাকর্মা অর্থাৎ আয়ুর্বেদের অন্দরে পরিশ্রুত করণের ছয়টি উপায় আছে। তার মধ্যে নেতি এবং তর্তাক চোখের বিষয়ে ভাল ফল দেয়। চোখের আসেপাশের শুকনো অঞ্চল থেকে শুরু করে চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা অস্বস্তি থেকে এটি আরাম দেয়।
চতুর্থ, ঠান্ডা জল দিয়ে সারাদিনে অন্তত দুইবার চোখে বারবার ছেটা দিন। কমপক্ষে ১০/১৫ বার ধরে ঠান্ডা জল দিয়ে এটি করুন, চোখের নোংরা পরিশ্রুত হয়।
পঞ্চম, বরফ জল এবং চূড়ান্ত গরম জল চোখে একেবারেই দেবেন না। এমনকি বাইরে থেকে এসে যদি আপনার সারা দেহ গরম থাকে তবে সাধারণ তাপমাত্রায় আসা অবধি অপেক্ষা করুন এবং তারপরেই জল দিন।
ষষ্ঠ, আয়ুর্বেদিক একটি পণ্য সামগ্রী হল অঞ্জনা! এটি কিন্তু নিদারুণ কাজ দেয়। আই লিড এর ভেতরের অংশে এটি অ্যাপ্লাই করুন আপনার চোখ ভাল থাকবে।
নিজের আঁখি যুগল সবসময় সুন্দর এবং জীবাণুমুক্ত রাখুন!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন