বেশ কিছুদিন ধরেই আয়ুর্বেদিক ওষুধের প্রয়োজন এবং এর গুরুত্ব নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই। চিকিৎসা স্বস্তির আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গেই আয়ুর্বেদ এবং যোগার গুরুত্বকে অনেকেই দাবি করছেন। এবার এই প্রসঙ্গেই সহমত পোষণ করলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডক্টর, সৌম্যা স্বামিনাথন। স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতিতে এর প্রয়োজনীয়তা প্রবল, জানালেন তিনি।
এদিন তিনি বলেন, সুস্বাস্থ্য এবং ভাল স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। এই ক্ষেত্রে গবেষণার মাধ্যমেই একে আরও প্রতিক্রিয়াশীল এবং চটপটে করে তুলতে হবে। আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক ওষুধকে কাজে লাগিয়েই চিকিৎসা শাস্ত্রে উন্নতি ঘটাতে হবে! দুইয়ের সহযোগিতাই প্রয়োজন। প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, একসময় ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্যই আয়ুশ মন্ত্রকের সঙ্গে এক দারুণ সম্পর্ক হয়েছিলেন। তবে অনেক গবেষণা প্রয়োজন, একাডেমিক এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে একে মিলিয়ে মিশিয়ে দেখা অবশ্যই দরকার। তাহলেই দেদার উন্নতি হবে।
জনস্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার কারণে নানা গবেষণা, জৈব প্রযুক্তি এবং শিল্পের উন্নতির প্রয়োজন। আয়ুর্বেদের স্বার্থেই, উদ্ভাবনী ট্রায়ালের প্রয়োজন। আয়ুর্বেদিক ওষধি কে মডিফাই করার প্রয়োজন রয়েছে। যাতে এটি পরবর্তীতে জটিল রোগ সারিয়ে তুলতে পারে।
অন্যদিকে চিকিৎসক ভূষণ পাটবর্ধন বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ভারত সরকারের মধ্যে এই অংশীদারিত্ব এবং মেলবন্ধন খুব দরকার ছিল। প্রচুর দেশের উপকার হবে। আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির যে মেলবন্ধন, তাতে নতুন কিছু তাড়াতাড়িই অগ্রগতি দেখা দেবে। বিভিন্ন দিক পরিচালনা করে, দেশগুলিকে একত্রিত করে নানা কিছুর উদ্ভাবন হবে। এতে গুণমান যেমন বাড়বে, ওষুধের মাত্রাও বাড়বে।