রাজ্যের এলাকাভিত্তিক জাগ্রত মন্দিরগুলোর অন্যতম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ব্লকের রসকুণ্ডর বাবা বসন্ত রায় মন্দির। যেখানে গোপনে অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও ছুটে যান মনস্কামনা পূরণের জন্য। গড়বেতা স্টেশন থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রসকুণ্ড। যাঁরা গনগনির দিকে যাবেন, তাঁরা যাওয়ার পথে ঘুরে যেতে পারবেন এই মন্দিরে। চন্দ্রকোণা রোড থেকে এর দূরত্ব ৬ কিলোমিটার।
সারা বছর এই মন্দিরে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে আসেন বাতের ব্যথার মত রোগ সারানোর প্রার্থনা নিয়ে। যা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও সারে না। সেই বাত রোগও দূর হয় এই মন্দিরে। এই মন্দির থেকে ভেষজ ওষুধ দেওয়া হয়। স্বপ্নাদেশে পাওয়া সেই ওষুধের মাধ্যমে বাতের ব্যথার চিকিৎসা হয় নামমাত্র মূল্যে। এমনকী মন্দির চত্বরে রেখে বাতের ব্যথার চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থাও এখানে রয়েছে। প্রায় ১০০ রোগীকে রেখে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা এখানে রয়েছে।
সোম থেকে রবি, বারের বিচার নেই। প্রতিদিন বহু ভক্ত এখানে শিবলিঙ্গে জল ঢালতে আসেন। আর, শ্রাবণ মাসে তো মন্দির চত্বরে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। ভক্তদের ঢল নামে। একইরকম হয় চৈত্র মাসেও। শিবরাত্রিতে আলোকসজ্জায় সজ্জিত এই মন্দিরকে চেনাই দায় হয়ে পড়ে। এখানে বছরে একাধিকবার মেলা বসে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মেলা বসে চড়ক বা গাজনের সময়। তারকেশ্বরের মন্দিরের ভক্তরা যেমন ভাবে বলে ওঠেন- 'বাবা তারকনাথের চরণে সেবা লাগে, বাবা মহাদেব।' সেই একইভাবে বসন্ত রায়ের মন্দিরেও ভক্তরা বলেন- 'বাবা বসন্ত রায়ের চরণে সেবা লাগে, বাবা মহাদেব।'
আরও পড়ুন- আপদে-বিপদে রক্ষা করেন, দূরে পালায় রোগ, অপার মহিমা জীবন্ত কালীর
মন্দির চত্বরের সামনে রয়েছে পুকুর। যার জল বেশ পরিষ্কার। সেই জলে হাত-পা-মুখ ধুয়ে অথবা স্নান করে ভক্তরা এই মন্দিরে প্রবেশ করেন। মন্দির চত্বরেই দেবতার সাজানো ডালা বিক্রি হয়। তার বিভিন্ন দাম আছে। সেই ডালা অন্য কাউন্টারের মাধ্যমে পৌঁছে যায় মূল মন্দিরে।