Advertisment

বাংলার জাগ্রত বৈদ্যনাথ মন্দির, ভক্তরা ডাকেন ছোট কাছারি নামে

মনস্কামনা জানালে পূরণ হয়। এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Baidyanath Chhoto Kachhari

ছোট শিবমন্দির। যার পাশে ও পিছনে রয়েছে পুকুর। অনেকে এই পুকুরে স্নান করে শিবের পুজো দেন। মন্দিরের সামনেই রয়েছে প্রাচীন বটবৃক্ষ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গাছটি পড়ে গিয়েছে। তারপরও সেখান থেকে আবার ডালপালা বিস্তার করেছে। এই বটবৃক্ষের নীচেই ভক্তরা ধূপ-মোমবাতি-প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখেন।

Advertisment

মন্দিরের সামনেই স্থানীয় কয়েকজন মহিলা পুজোর ডালা ও সামগ্রী সাজিয়ে বিক্রি করেন। সেখান থেকে কিনেও দেওয়া যায় পুজো। আবার, অনেকে বাড়ি থেকেই পুজোর সামগ্রী সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। মন্দিরের আশপাশের বাড়িতেও টগর, বেল, জবা ফুলের গাছ রয়েছে। অনুমতি নিয়ে সেই সব সংগ্রহ করেও দেওয়া যায় বৈদ্যনাথের মাথায়।

এখানে সোমবার এবং শনিবার বেশি ভিড় হয়। অন্যদিনও খুব একটা কম ভিড় হয় না। এখানে সন্তান কামনায় মহিলারা দণ্ডী কাটেন। মানত পূরণ হলে সন্তান আর মাটির গোপাল কোলে নিয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে অনেকে পুজো দিয়ে যান। নিজের পুজো সকলে নিজেই করেন। পুজো দেওয়ার পর মন্দিরের সামনে পঞ্চবটীর তলায় মোমবাতি জ্বালান ভক্তরা। ধামায় করে বাতাসা হরিলুট দেন।

যাঁরা সন্তান চান, তাঁরা মন্দির থেকে অন্য কোনও ব্যক্তির দান করা গোপাল চেয়ে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন। সন্তান প্রাপ্তি হলে মন্দিরে গোপাল ফিরিয়ে দিয়ে, পুজো দিয়ে হরির লুট দেওয়ার রীতি রয়েছে এখানে। এখানে যাঁরা পুজো দিতে আসেন, তাঁরা পুজো দেওয়ার পর মুড়ি-ঘুগনি, পরোটা-ঘুগনি খান। আর, বৈদ্যনাথকে নিবেদন করা হয় বাতাসা ও মিষ্টি।

আরও পড়ুন- তাঁর ‘জাগ্রত ভোলানাথ’-এর দর্শন করতে এই মন্দিরে ছুটে আসতেন শ্রীরামকৃষ্ণ

এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনি। কথিত আছে একবার ডায়মন্ড হারবার লাইনের এক চালককে শ্রীবৈদ্যনাথ স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। তাঁকে শনিবার শেষ ট্রেন চালাতে বারণ করেছিলেন। কারণ, ওই সময় তিনি নাকি ভ্রমণ করেন। কিন্তু, সেই ট্রেনের চালক সেই স্বপ্নাদেশ বিশ্বাস করেননি। কাউকে কিছু না-জানিয়ে ট্রেন চালিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় যে ট্রেনটি কল্যাণপুরে গিয়ে থেমে যায়। কোনওমতেই আর ট্রেনটি চালানো যায়নি। সেই থেকে এই লাইনে ১১টা ৪৫ নাগাদ শেষ ট্রেনটির চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনও বহাল রয়েছে সেই নিয়ম।

শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ডায়মন্ড হারবার লোকালে চাপলে বারুইপুরের পরবর্তী স্টেশন পড়বে কল্যাণপুর। স্টেশনের কাছেই রয়েছে টোটো বা মোটরভ্যানের স্ট্যান্ড। তাতে চেপে যাওয়া যায় বৈদ্যনাথ শিব মন্দিরে। মন্দিরের সামনেই রাস্তা। সেখানেই নামিয়ে দেয় টোটো বা ভ্যান।

Temple Lord Shiva pujo
Advertisment