শরত পেরিয়ে হেমন্ত পড়লেই বাংলায় কত কত বছর ধরে হয়ে আসছে শক্তির উপাসনা। আজকালকার শহুরে পুজোয় অনেক আয়োজন থাকে, জৌলুস থাকে। কিন্তু সমাজের কাছে, প্রকৃতির কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রবণতা যেন বেশ কিছুটা কম। সে দিক থেকে বড়িশা শান্তি সঙ্ঘের পুজো ব্যতিক্রম। বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই পরিবেশ বান্ধব পুজোর কথা ভেবে আসছে এই ক্লাব।
এ বছরের পুজোয় দুই বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরতে প্রয়াসী বড়িশা শান্তি সঙ্ঘ। পুজোর থিম 'রঙের কাঁথায় মোড়া, আগাগোড়া বাঙালিয়ানায় ভরা। ক্লাব সেক্রেটারি রাজীব দাস জানালেন, "বাঁশ, শনের দড়ি, কাঠের মুখোশ, কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুজোর মন্ডপ। ওপার বাংলার বর্ষ বরণ উদযাপনের স্বাদও এ পারের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমরা"।
আরও পড়ুন, লক্ষ্মী পুজোর দিন তিনেক পর ফের দুর্গা আসেন এই গ্রামে
বড়িশা শান্তি সংঘের প্রতিমা
ডায়মন্ড হারবার রোডের ওপর শীল পাড়া বাস স্টপের কাছেই এক পার্কের মধ্যে মন্ডপ তৈরি হয়েছে বড়িশা শান্তি সঙ্ঘের। এ বছর পুজোর বয়স হল ৭০। সেই সময় থেকেই শ্যামা মায়ের মূর্তির পেছনে থাকে আগুনের শিখা। আগুনকে শক্তির প্রতীক রূপেই কল্পনা করা হয় এখানে।
মন্ডপসজ্জা
গত বছরেও অভিনবত্বের ছাপ রেখেছিল এই ক্লাব। সেচের কাজে বৃষ্টির জল ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখেই ২০১৮-র কালী পুজোর থিম পরিকল্পনা করেছিলেন শিল্পী অরুণ সরকার। কোন কোন পদ্ধতিতে জল সংরক্ষণ করা যায়, তা-ই বিশদে দেখানো হয়েছিল মণ্ডপে। স্বভাবতই এ বছর বড়িশা শান্তি সঙ্ঘের কাছ থেকে তাই প্রত্যাশা বেড়েছে মানুষের।