Advertisment

দৈহিক তাপমাত্রা বেশি থাকলে স্নান করা উচিত নাকি নয়?

এই সময় বুঝে শুনে স্নান করুন, নইলে মুশকিল

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

প্রচন্ড গরমে দিনে দুই তিনবার স্নান কিন্তু ভীষণ স্বাভাবিক বিষয়। দৈহিক তাপমাত্রার সঙ্গেই ক্লান্তি দূর করতে ঠান্ডা জল এবং স্নান দুটোই বেশ কার্যকরী। শরীরের ঘাম যেমন দুর হয় তেমনই তার সঙ্গেই দৈহিক টক্সিন প্রদাহের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু বেশিমাত্রায় স্নান করলেও কিন্তু সমস্যা। জ্বর চলে আসার একরকমের সম্ভাবনা থাকে। এবং বহু প্রাচীন সময় থেকেই স্নানের সঙ্গে জ্বর তথা দৈহিক তাপমাত্রা বেজায় সম্পর্কিত!

Advertisment

দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকলে অনেকেই স্নান করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। সেই নির্দিষ্ট সময় তারা ঠান্ডা বোধ করেন। বিশেষ করে প্রথম ধাপে, শরীরের নমনীয়তা এতটাই বেশি থাকে যে স্নান করা মুশকিল হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গে ধারণা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ ভারালক্ষি ইয়ামারেন্দ্র।

শরীরে যখন তাপমাত্রা বেশি থাকে তখন মেটাবোলিজমের ঘাটতি থাকে। শরীরে তখন সঠিকভাবে কিছুই সম্ভব হয়না। সবার আগে এটিকেই সরিয়ে তুলতে হয়। কারণ শরীরে ঘাটতি থাকলে ইমিউনিটি বুষ্টিং সম্ভব নয়।

শুধু তাই নয়, শরীরের রক্ত প্রবাহের সঙ্গেও এটি সম্পর্কিত। দৈহিক তাপমাত্রা বেশি থাকাকালীন ঠান্ডা জল গায়ে পরলে ঠিক তার পরবর্তীতে, শরীরের টক্সিন হ্রাস পায় এবং তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে থাকে। রক্তকোষে লোহিত ভাব বাড়ে এবং অনেক সময় দেখা যায় এর প্রভাবেই, অগ্নির মাত্রা কমে যায়। ফলে হজমের গোলমাল এবং পরবর্তীতে পাচনে অসুবিধে দেখা যায়।

একেবারে প্রথম দিকে এই কারণেই ঠান্ডা জলে স্নান করতে মানা করা হয়। কারণ শরীরের অগ্নি হ্রাস পেলে শরীর আরও সুস্থ হতে চায় না। অত্যন্ত গরমে বাইরে থেকে ফিরলেও, আগে একটু শরীর ঠান্ডা করুন। তারপরেই স্নান করুন।

Human body Temperature Rise BATH
Advertisment