সময় পাল্টাচ্ছে। যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে ছেলেমেয়েদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থেকে মানসিক অবস্থা। কর্মক্ষেত্রে চাপ, পড়াশোনা সংক্রান্ত নানান সমস্যার সম্মুখীন এখন অল্পবয়সী ছেলে মেয়ে উভয়েই। তার সঙ্গে রয়েছে আনুসঙ্গিক নানান বিষয়। সম্পর্কের মারপ্যাঁচ কিংবা পারিবারিক অসঙ্গতি ওদের বোঝার চেষ্টা বাবা-মাকে করতেই হবে।
Advertisment
অনেক সময়ই দেখা যায় ওরা সহজেই আস্থা হারিয়ে ফেলে, চিৎকার চেঁচামেচি বলুন কিংবা মানসিক সংকুলান এবং মেজাজ হারিয়ে ফেলার কারণে সমস্যা আরও জটিলতর হতে থাকে। এই সময় ওদের মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা আপনাকেই করতে হবে। ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন না। কথা বলুন, পাশে থাকার চেষ্টা করুন।
যে বিষয়গুলি বাবা-মা হিসেবেও বোঝা উচিত,
অবশ্যই এটি এক্কেবারে সঠিক আপনার সমস্যাও এড়িয়ে যাওয়ার নয়। কিন্তু নিজের আগেও ছেলেমেয়েদের কথা ভাবুন। তাদের সহজে রাগতে দেবেন না। ঠাট্টা তামাশা থেকে ওদের দূরে রাখুন। সময়ের প্রেক্ষিতেই মন্তব্য করুন। তাই নিজের রাগ এইসময় কম রাখুন। ওদের ওপর বিরক্তি দেখাবেন না।
সংকটের সময় ওদের হুমকি দেবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। আগে কারণ জানার এবং বোঝার চেষ্টা করুন তারপরেই সমাধান করুন। অতীতের কোনও ঘটনা টেনে নিয়ে ওদের আঘাত করবেন না।
আবেগ থেকে দূরে রাখুন ওদের। দরকার হলে এদিক-ওদিক ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন। একতরফা জীবন থেকে মন ভাল করার উপায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। ওদের কী পছন্দ সেই সম্পর্কে একটি ধারণা করুন এবং ওদের সাহায্য করুন।
প্রয়োজনের বেশি কথা বলা থেকে এই সময় বিরত থাকুন। নয়তো ওদের চুপ করে থাকতে দিন নয়তো কোনও খেলা কিংবা ভাল সিনেমা বা আনন্দ অনুষ্ঠানে ওদের যুক্ত করুন।
যে বিষয়টি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, সমস্যার সমাধান অর্থ ওদের শেখার পাঠ দেওয়া নয়। নিজের হাতে সময় নেই বলে ওদের দূরে ঠেলে দেবেন না। প্রতিটা বিষয় ওদের উপলব্ধি করানো বেশ দরকার। যেন সেই ভুল আর দ্বিতীয়বার ওরা না করে। ওদের স্বার্থ এবং যুক্তি দুটোকেই বোঝার চেষ্টা করুন। দোষী সাব্যস্ত না করে নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে দিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন