Stay cool & healthy with these refreshing summer fruits: প্রচণ্ড গরমে শরীরকে তরতাজা রাখতে হবে। আর সেই জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর আহার, সঙ্গে মরশুমি ফল। গরমে শরীরে অভ্যন্তরীণ আর্দ্রতা ঠিক রেখে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সক্রিয় রাখতে ফলের জুড়িমেলা ভার। গরমে একটি ফল অবশ্যই খেতে হবে যা খেলে ক্যানসার কোষের বাড়বাড়ন্ত কমবে, ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমবে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, গ্রীষ্মে সুস্থ থাকবে কোনটি অলরাউন্ডার ফ্রুট?
গরমে তৃপ্তি পেতে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা তরমুজের কোনও তুলনা হয় না। অনেকে আবার তরমুজের জুস খেতে ভালবাসেন। ভিটামিন এ এবং সি-সহ প্রচুর পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে রয়েছে যা শরীরের কোষগুলিকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এই ফ্রি র্যাডিক্যাল দীর্ঘমেয়াদে শরীরে জমে গেলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি হয়। তরমুজ ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ এই তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, সি এবং খনিজ উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধের সঙ্গে ওজন কমায়। তরমুজে আছে ৯২ শতাংশ পানীয় উপাদান, যা শরীরের প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা পূরণ করে।
একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, অত্যধিক তরমুজ খেলেই কিন্তু শরীরের চর্বি কমে যাবে না। বরং জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। অত্যধিক তরমুজ খেলে লিভারের প্রদাহ, গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি, হজমের সমস্যা ও কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বাড়তে পারে। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণেই তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এ তো গেল অলরাউন্ডার ফ্রুট-এর কথা। গরমে আর কোন ফল স্বাস্থ্যকর? জামরুলে আছে প্রচুর পরিমাণের ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। গরমে লিচু খেলে বদহজমের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। আরও একটি ফল গরমে ভীষণ উপকারী। ডাবের জল যেমন তৃষ্ণা মেটায়, তেমনই পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। গ্রীষ্মকালীন ফল আঙুর খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে পিচ ফল। জ্বর, সর্দি-কাশি বা কফের প্রতিরোধক আনারস। গরমে অনেক সময় খাওয়াদাওয়ার প্রতি অনীহা তৈরি হয়। পেঁপে মুখের রুচি ফেরায়, খিদেও বাড়ায় ও পেটও পরিষ্কার করে।