প্রতিটি মানুষের ওজন বাড়ার সূত্র এবং স্থান কিন্তু এক নয়। কারওর তলপেটে, কারওর আবার হাতের নিচের অংশে আবার কারওর ক্ষেত্রে কোমরে মেদ জমতেই পারে। তবে বেশিরভাগ মানুষই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে তলপেটের দিকে বেশি নজর দেন। কিন্তু সঠিকভাবে এই ওজন কমানোর উপায় জানতে হয়। নাহলে বড্ড মুশকিল!
বেলি ফ্যাট কমানোর বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। তারমধ্যে কোনগুলি সবথেকে বেশি কার্যকরী? ডায়েটিশিয়ান নাতাশা মোহন বলছেন তলপেটের চর্বি নিজের মত আয়ত্বে রাখার অর্থ, সারা শরীরের মেদের পরিমাণ ঠিক রাখা। তলপেটের চর্বি যদি কম থাকে তবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে না। হার্টের সমস্যা থাকে না। এমনকি ক্যানসারের মত দুরারোগ্য ব্যাধির থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। শুধু তলপেটের চর্বি কমানো একেবারেই মুশকিল - তবে এই নিয়ম গুলো মানলে অনেক কিছুই হতে পারে।
মিষ্টি এবং মিষ্টি জাতীয় পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন :-
মিষ্টি জাতীয় পানীয় একেবারেই শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। দিনের পর দিন এটি গ্রহণ করতে শুরু করলে এমনিও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নিজের ডায়েট থেকে সুগার এবং এজাতীয় পানীয় কমিয়ে দিন। তবে তাই বলে মিষ্টি ফল কিংবা ফাইবার কমিয়ে দেবেন না।
কার্ব খাওয়া কমিয়ে দিন :-
স্বল্প মাত্রায় কার্ব কিন্তু অবশ্যই দরকার। তবে অত্যধিক হলে চলবে না। যেই কার্বর মাত্রা কমে যাবে সঙ্গে সঙ্গে খিদের মাত্রাও কমে যাবে সুতরাং ওজন বাড়ার আর কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। এমনকি টাইপ টু ডায়াবেটিস এর মাত্রাও কমবে।
ফাইবার জাতীয় খাবার :-
খাবার খেলেই হল না, সেটিকে হজম করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার খেলে শরীরে পুষ্টি তন্তুগুলি ভালভাবে কাজ করবে। নানাধরনের সবজি, ফল এবং শস্যবিজ এতে ভাল কাজ করবে।
প্রতিদিনের ব্যায়াম :-
এটি ভুলে গেলে একেবারেই চলবে না। বিশেষ করে পেটের মেদ কমায়। তাই অ্যারোবিক ব্যায়াম ছাড়াও হাঁটাচলা, দৌড়ানো, সাঁতার এগুলি কিন্তু ভাল কাজ করবে। সিট আপ ছাড়াও স্কোয়াড কিন্তু বেশ ভাল।