রীতি মেনে সকালে ঘট স্নান, ষষ্ঠীর কল্পারম্ভ নিয়ে শারদোৎসবের সূচনা হল বেলুড় মঠে। সন্ধ্যায় হবে দেবীর বোধন। সঙ্গে আমন্ত্রণ ও অধিবাসের অনুষ্ঠান। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে পুজো হয় বেলুড়ে। ষষ্ঠীক সকাল থেকেই ভক্তরা মঠে আসতে শুরু করেছেন।
বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট (সপ্তমী থেকে দশমী)
- ষষ্ঠী (২রা কার্তিক, ২০ অক্টোবর ২০২৩, শুক্রবার)- দেবীর বোধন, অধিবাস, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়
- সপ্তমী (৩রা কার্তিক, ২১ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার)- পুজো শুরু ভোর সাড়ে ৫টায়।
- অষ্ঠমী (৪ঠা কার্তিক, ২২ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার)- মহাষ্টমী, পুজোর শুরু ভোর সাড়ে ৫টায়
- কুমারী পুজো- বেলা ৯টায়
- সন্ধিপুজো- সন্ধ্যা ৭টা ৩৬ মিনিট থেকে রাত্রি ৮টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত
- নবমী (৫ই কার্তিক, ২৩ অক্টোবর ২০২৩, সোমবার)- পুজো শুরু ভোর ৫.৪০ মিনিটে, হোম- দুপুর সাড়ে ১২টা
- দশমী (৬ই কার্তিক, ২৪ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার)- পুজো শুরু ভোর ৬.৩০ মিনিটে
- প্রতিমা নিরঞ্জন ও শান্তিজল প্রদান- শ্রীশ্রী ঠাকুরের সন্ধ্য়া আরতির পর
- পুষ্পাঞ্জলি- প্রত্যেকদিন শ্রীশ্রী দেবীর মধ্যাহ্নভোজের পর। ২১-২৩ অক্টোবর দুপুর ১২.৩০ থেকে ১টা পর্যন্ত। (অঞ্জলির জন্য বেলপাতা ফুল ভক্তকেই আনতে হবে)
- শ্রীশ্রী দেবীর সন্ধ্যা আরতি- ২১-২৩ অক্টোবর শ্রীশ্রী ঠাকুরের সন্ধ্যা আরতির পর।
- প্রসাদ বিতরণ- (২১-২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় মা সারদা সদাব্রত ভবন থেকে।
কেন কুমারী পুজো হয়?
শাস্ত্রমতে কুমারী পুজোর সূচনা হয় বানাসুরকে বধ করার মধ্য দিয়ে। কথিত আছে, বানাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায়, বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবতাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে বানাসুরকে বধ করেন। তারপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পুজোর প্রচোলন।
আরও পড়ুন- দুর্গাষষ্ঠী কী, গণেশের জন্মের সঙ্গে দুর্গাষষ্ঠীর সম্পর্কই বা কী?
আরও পড়ুন- কেন রাতে হয় দুর্গাপুজোর বোধন, কী জন্য দরকার হয় বেলগাছের?
আরও পড়ুন- দুর্গাষষ্ঠীতে আরাধনা করা হয় দেবী কাত্যায়নীর, জানেন দেবী কী বর দেন?