/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/01/belur-math-durga-puja-1-2025-10-01-22-15-41.jpg)
Belur Math Durga Puja: বেলুড় মঠে দুর্গা পুজো।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/01/belur-math-durga-puja-2-2025-10-01-22-15-57.jpg)
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব
Belur Math Durga Puja: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। কিন্তু বেলুড় মঠে দুর্গাপূজার সূচনা ও বিকাশ এক বিশেষ ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বহন করে। স্বামী বিবেকানন্দ নিজে প্রথম বেলুড় মঠে বিল্বতরুমূলে দুর্গাপূজার বোধন করেছিলেন। তাঁর দেহত্যাগের পরেও এই পূজা কখনও ঘটস্থাপনা, কখনও প্রতিমা পূজার মাধ্যমে অব্যাহত থেকেছে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/01/belur-math-durga-puja-3-2025-10-01-22-18-19.jpg)
স্বামীজীর পরবর্তী পূজা আয়োজন
স্বামীজীর মহাসমাধির পর বেলুড় মঠের দুর্গাপূজার ভার নেন তাঁর গুরুভ্রাতারা—স্বামী ব্রহ্মানন্দ, স্বামী প্রেমানন্দ, স্বামী সারদানন্দ, স্বামী অখণ্ডানন্দ ও স্বামী শিবানন্দ প্রমুখ। তাঁদের পরিচালনায় পূজা সমারোহ, ভাবগাম্ভীর্য এবং আধ্যাত্মিক আবহে বিশেষ মর্যাদা পায়। বিশেষত, যখন শ্রীশ্রীমা সারদা দেবী পূজায় উপস্থিত থাকতেন, তখন মণ্ডপে ভক্তদের মনে হত যেন স্বয়ং জীবন্ত দুর্গা পূজায় অংশ নিচ্ছেন। মৃন্ময়ী প্রতিমার অভাব পূর্ণ করত এই চিন্ময়ী মায়ের উপস্থিতি।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/01/belur-math-durga-puja-4-2025-10-01-22-21-31.jpg)
ঘটেও পুজোর আয়োজন
১৯০১ সালের পর বহু বছর বেলুড় মঠে দুর্গাপূজা ঘটস্থাপনা করে সম্পন্ন হয়। অর্থনৈতিক ও সাংগঠনিক কারণে প্রতিমা পূজা নিয়মিত সম্ভব হয়নি। তবে ১৯১৩ সাল থেকে প্রতিবছর প্রায় নিয়মিতভাবে প্রতিমা পূজা শুরু হয়। তবে, কিছু দুর্বৎসরে প্রতিমা পূজা না হলেও ঘট ও পটে দেবীকে পূজা করা হয়েছে। শ্রীমা সারদা দেবীর উপস্থিতি এসব ঘটপূজাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলত।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/01/belur-math-durga-puja-5-2025-10-01-22-55-05.jpg)
সারদা দেবী যা বলেছিলেন
দেবীর আগমনকে কেন্দ্র করে বহু স্মরণীয় ঘটনা রয়েছে। যেমন, ১৯১২ সালের দুর্গাপূজার দিনে স্বামী প্রেমানন্দ অধীর আগ্রহে দেবীর অপেক্ষায় ছিলেন। মঙ্গলঘট ও কলাগাছ বসানো শেষ হওয়ার পর যখন সারদাদেবী এসেছিলেন, তিনি বলেছিলেন—'সব ফিটফাট, ঠিক যেন সেজেগুজে মা দুর্গাঠাকরুন এলুম।' এই কথাই প্রমাণ করে, সারদাদেবী শুধু যজমানই ছিলেন না, পূজার দেবী রূপেই সবাই তাঁকে উপলব্ধি করতেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/01/belur-math-durga-puja-6-2025-10-01-22-55-50.jpg)
সারদা দেবীর নামেই পূজার সংকল্প
আজও বেলুড় মঠে দুর্গাপূজা, কালীপূজা ইত্যাদি সারদা দেবীর নামেই সংকল্প করে অনুষ্ঠিত হয়। সারদামণির জীবদ্দশায় যেমন তাঁর অনুমতি নিয়ে পূজা হত, তেমনই মৃত্যুর পরেও তাঁকে পূজার আধ্যাত্মিক কেন্দ্রে ধরা হয়।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/01/belur-math-durga-puja-7-2025-10-01-22-56-45.jpg)
এক আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য
বেলুড় মঠের দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের ধারক। শ্রীশ্রী মা সারদার উপস্থিতি এবং স্বামীজীর উত্তরসূরি সন্ন্যাসীদের অবদান এই পূজাকে বাঙালি সমাজে এক অদ্বিতীয় মর্যাদা দিয়েছে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us