Advertisment

একমুঠো কুমড়োর বীজ! আপনিও হয়ে উঠতে পারতেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী

১০০ গ্রাম কুমড়ার বিচি থেকে ৫৫০-৬০০ ক্যালরি পাওয়া যায়। অর্থাৎ শর্করার বিকল্প বস্তু হিসেবে কুমড়ো বিচির জুড়ি মেলা ভার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অবসর সময়ে স্ন্যাকস, তেলেভাজা, ঝালমুড়ি খেতে কার না ইচ্ছে হয়। প্রত্যেকেই স্ন্যাকস জাতীয় খাবারের ভক্ত। তবে এবার স্বাদ ও স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য বেছে নিতে পারেন কুমড়োর বীজ। স্ন্যাকস জাতীয় খাবার আর যাই হোক, পুষ্টিগুণ অবশ্য একদমই নেই। কুমড়োর বীজ কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর।

Advertisment

জেনে নিন কেন কুমড়োর বীজ দৈনিক খাদ্য তালিকায় রাখতেই হবে-

১) ওমেগা থ্রি তে ভরপুর। শরীরের অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিডের চাহিদা পূরণ করে ওমেগা থ্রি। আর ওমেগা থ্রির কুমড়োর বীজে দারুণ পরিমানে থাকে। ওমেগা থ্রি স্থূলতা কমায়, হৃদযন্ত্রের পক্ষে উপকারী এবং শরীরের কোষের গঠনে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন কুমড়োর দানা।

২) ১০০ গ্রাম কুমড়ার বীজ থেকে ৫০-৬০০ ক্যালরি পাওয়া যায়। অর্থাৎ শর্করার বিকল্প বস্তু হিসেবে কুমড়ো বীজের জুড়ি মেলা ভার। প্রতিদিনের শর্করার ৭০ শতাংশই কুমড়োর বীজ দিয়ে পরিপূরণ করা সম্ভব।

৩) শরীরে দুই ধরণের কোলেস্টেরল থাকে- ভালো (উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন) ও খারাপ (নিম্ন ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন)। কুমড়োর বীজে যে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়। কুমড়ো বীজের ম্যাগনেশিয়াম রক্তের গুনাগুন বাড়ায়।

এন্টি অক্সিডেন্টের উপস্থিতি: পিউফা এবং লাইপোফিলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপাদানের থাকে। শরীরের ফ্রি রাডিকালস বর্জ্য পদার্থ অপসারণের জন্য এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ফ্রি রেডিকেলস কোষের আন্তঃপর্দা, প্রোটিনের ইলেকট্রন চুরি করে নেয় অক্সিডেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

সব মিলিয়ে দিনে পরিমাণ মত কুমড়োর বীজ রাখুন খাদ্যতালিকায়। তারপর সুস্বাস্থ্য একদম হাতের মুঠোয়।

health
Advertisment